Quantcast
Channel: Software – Trickbd.com
Viewing all 601 articles
Browse latest View live

[HACKING] এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স Part: ১

$
0
0

কম্পিউটিং এর প্রতি ভালোবাসা বাড়ছে মানুষের দিনের পর দিন। শুধু ভালোবাসা নয়, কম্পিউটার আরো এবং আরো প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে উঠছে ধীরেধীরে। কিন্তু কোন জিনিষ থেকে শুধু সুবিধায় পাওয়া যাবে, সেখানে কোন সমস্যাই হবে না, এমন তো হতে পারে না, তাই না? তাই সাইবার ক্রাইম, ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং, ডিডস অ্যাটাক, র‍্যানসমওয়্যার, ম্যালওয়্যার ইত্যাদি বিষয় গুলোও কম্পিউটিং জগতে আগের চেয়ে অনেক বেশি বিস্তার লাভ করেছে। যেমন সমাজে অপরাধ বেড়ে গেলে সমাজ শাসকের প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি সাইবার ওয়ার্ল্ডে প্রয়োজনীয় হয় সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট বা এথিক্যাল হ্যাকারদের। সবচাইতে ভালো কথা হলো এটা যে, আপনাকে একজন এথিক্যাল হ্যাকার হয়ে উঠতে স্কুল কলেজের মতো বছরের পর বছর ধরে পড়াশুনা করে তারপর যোগ্যতা বা জীবিকার জন্য চিন্তা করতে হবে না। সঠিক জ্ঞান আর প্রশিক্ষণ গ্রহন করার মাধ্যমে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একজন দক্ষ এথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

স্কুলের প্রথম দিনে প্রথম ক্লাসে যেমন নাম আর পরিচয় জানতেই দিন শেষ হয়ে যায়, আজকের আর্টিকেলও ঠিক তেমনি শেষ হবে। আমি বছর ২ আগে যখন প্রথম সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পোস্ট করেছিলাম, সেখানে উল্লেখ্য করেছিলাম এথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে, আর তখন থেকেই আপনাদের মাঝে অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। তাই শেষমেষ সম্পূর্ণ কোর্স রিলিজ করবো হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর দেখুন আজ সেই সিদ্ধান্তের ১ম ক্লাস! অনেকেই হ্যাকার হতে চায়, খুব ভালো কথা—কিন্তু হ্যাকিং শেখার আগে অবশ্যই এথিক্যাল হ্যাকিং বিষয়টির উপর আপনার ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজনীয়।যাই হোক, এই সূচনা পর্বে আমি আলোচনা করবো এই সম্পূর্ণ ফ্রী কোর্সে আমরা কি কি শিখতে চলেছি, এবং আমাদের লক্ষ্য আসলে কি হবে।

এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স

এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স

আপনি যদি যথেষ্ট সময় এই ব্লগের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন, তবে অবশ্যই জানেন যে, ট্রিকবিডি কখনোই কোন নলেজ শেয়ার করার জন্য অর্থের ডিম্যান্ড করে নি, আর ভবিষ্যতেও করবে না। আর যদি বলি আমার কথা, সেক্ষেত্রে আমি জ্ঞান শেয়ার করতে ভালোবাসি, আর অবশ্যই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করতেও ভালোবাসি। আমি কোন সার্টিফাইড এথিক্যাল হ্যাকার নই, হ্যাকিং প্র্যাকটিস করি ২০১৪ সালের দিক থেকে। আজ পর্যন্ত যা কিছু শিখেছি সব কিছুই অনলাইনের সাহায্য নিয়ে, কখনো কোন পেইড কোর্সও জয়েন করিনি। আসলে, আপনার যদি বেসিক গুলো জানা থাকে, সেই ক্ষেত্রে ওপেন ওয়েবেই এতো বেশিকিছু পেয়ে যাবেন, আপনার পেইড কোর্স জয়েন করার প্রয়োজন পড়বে না, তবে সার্টিফিকেটের জন্য পেইড কোর্স প্রয়োজনীয় হতে পারে। এই ফ্রী এথিক্যাল হ্যাকিং কোর্সে আমি বিগেনার থেকে গীক টাইপ পর্যন্ত এক একটি বিষয় পর্ব আকারে পোস্ট করতেই থাকবো। আসলে নলেজ অর্জন করার কোন শেষ নেই, তাই এই কোর্স কবে শেষ হবে সেটারও কোন নিশ্চয়তা নেই, প্রতিনিয়ত এখানে পর্ব গুলো পোস্ট করেই যাবো। আর হ্যাঁ, এই কোর্সে যতো কিছু শেখানো হবে, সেটা অবশ্যই আগে থেকেই ইন্টারনেটে মজুদ রয়েছে, তবে ইন্টারনেট থেকে সরাসরি শিখতে গেলে আপনি এলোমেলো হয়ে যাবেন। আমি সবকিছু স্টেপ-বাই-স্টেপ গুছিয়ে এখানে বর্ণনা করবো। তবে কোন পেইড কোর্সে সাথে এই ফ্রী কোর্সটিকে তুলনা করবেন না, পেইড কোর্সে অনেক বড় বড় স্পেশালিষ্ট এবং এক্সপার্ট দ্বারা ট্রেইন করা হয়, আমি কোন এক্সপার্ট নয়, তবে যতোটুকু জ্ঞান আমার মধ্যে রয়েছে, আমি সবটুকুই এই কোর্সে ঢেলে দেওয়ার চেস্টা করবো। তো চলুন, এবার জেনে নেওয়া যাক, এই এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স থেকে আপনারা আসলে কি কি শিখতে চলেছেন…

কি কি থাকছে এই ফ্রী কোর্সে?

এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স

ওয়েবসাইট হ্যাকিং— ইন্টারনেটে তথ্য সংরক্ষিত থাকার সবচাইতে বিশাল বড় সিন্দুক হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলো। হাইলি ট্র্যাফিক, হিউজ ডাটাবেজ সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট গুলো সহজেই ব্ল্যাক হ্যাটদের টার্গেট হয়ে যেতে পারে। আর ওয়েবসাইট বলতেই কিন্তু ওয়েবসাইট নয়। আজকের দিনে না জানি ততো প্রকারের ল্যাংগুয়েজ আর কতো প্রকারের স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ওয়েবসাইট গুলোকে তৈরি করা হয়। আজকের সবচাইতে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট তৈরির প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে সিএমএস গুলো, যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা ইত্যাদি। আর এই সিএমএস গুলো ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলোর ত্রুটির শেষ নেই। এই কোর্সে আমরা বিভিন্ন টাইপের ওয়েবসাইটের ত্রুটি গুলোকে খুঁজে পাওয়ার পদ্ধতি গুলো আয়ত্ত করবো এবং ত্রুটি গুলোর প্যাচ ফিক্স করা শিখবো। সাথে কোন ওয়েবসাইট’কে টার্গেট করে কিভাবে তার উপর কেস স্ট্যাডি করতে হয় সে ব্যাপার গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানবো। কোর্সে আমি সহজ ব্যাপার গুলোকেও বারবার আলোচনা করার চেষ্টা করবো, হয়তো তার জন্য যারা সেগুলো আগে থেকেই জানেন, তারা বিরক্ত হতে পারেন, কিন্তু এখানে আমাকে সকল পাঠকের কথা চিন্তা করতে হবে।

সিকিউরিটি টেস্টিং— এখানে  সিকিউরিটি টেস্টিং নিয়েও আলোচনা হবে।

কালি লিনাক্স— কথা বলা হবে হ্যাকিং নিয়ে আর কালি লিনাক্সের প্রশ্ন আসবে না, সেটা কি হতে পারে? আপনার যদি সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট হওয়ার চিন্তা ভাবনা থাকে আর আপনি যদি এই চিন্তার সাথে অত্যন্ত সিরিয়াস হোন, অবশ্যই আপনাকে কালি লিনাক্স এ-জেড পর্যন্ত আয়ত্ত করতে হবে। এই অপারেটিং সিস্টেমটি বিশেষভাবে সাইবার সিকিউরিটি প্রদান করার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখানে আর বেশি কিছু বলবো না, তবে এতোটুকু বলে রাখছি, কালি লিনাক্স ছাড়া কখনোই হ্যাকার বলে নিজেকে পরিচিতি দেওয়া আপনার উচিৎ হবে না। ফ্রী কোর্স হয়েছে তো কি হয়েছে, কালি সম্পর্কে  নলেজ থাকবে এখানে!

বি: দ্র: কালি লিনাক্স হ্যাকিং বিষয়ে আমি ইতিমধ্যে ৩ টি পর্ব দিয়েছি আপনাদের মাঝে যার যার ইচ্ছা হবে আমার ট্রিকবিডি আইডি থেকে দেখে নিবেন।কালি লিনাক্স হ্যাকিং বিষয়ে আর ২ টি পর্ব দিয়েই শেষ করব।

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং— এই লাইন বহুবার উল্লেখ্য করেছি বিভিন্ন আর্টিকেলে, “কম্পিউটারের চাইতে মানুষকে হ্যাক করা অনেক বেশি সহজ” আর সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে মানুষের মস্তিষ্ক’কে হ্যাক করা বুঝানো হয়। অনেক হ্যাক অ্যাটাক কখনোই সম্ভব হতো না যদি সেখানে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাহায্য না নেওয়া হতো। বিশাল বড় সিস্টেম সেটআপ করে আর বহু লাইনের কোডিং করার পরেও একটি সিস্টেম হ্যাক করা ততোটা সহজ হয়না, যতোটা সহজে কাউকে বোকা বানিয়ে পাসওয়ার্ড হাতানো যায়। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম পর্যায় থেকে এখানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যায় পর্যন্ত আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে। যদিও আমি সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপার্ট নয়, কিন্তু তারপরেও চেষ্টা করবো কিছু আর্টিকেল সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপার্ট দ্বারা লিখিয়ে নেওয়ার।

কমপ্লিট নেটওয়ার্ক টেস্টিং অ্যান্ড হ্যাকিং— হ্যাকিং আর নেটওয়ার্কিং এক মায়ের পেটের দুই ভাই। আপনি নেটওয়ার্কিং এ যতোবেশি পারদর্শী হবেন হ্যাকিং আপনার জন্য ততো সহজ ব্যাপার হয়ে উঠবে। নেটওয়ার্কিং এর প্রত্যেকটি কোনা এখানে কভার করার চেষ্টা করবো, অন্তত প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো। আমরা যেকোনো নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি টেস্টিং সম্পর্কে শিখবো, ত্রুটি খুঁজে বেড় করবো, নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস গ্রহন করতে জানবো। এই কোর্সে ত্রুটি পূর্ণ নেটওয়ার্ক বাইপাস করার কমপ্লিট গাইড শেয়ার করা হবে, সাথে অবশ্যই ত্রুটি ফিক্স করার প্রসঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ফায়ারওয়াল টেস্টিং থেকে শুরু করে, প্যাকেট ক্যাপচারিং, প্যাকেট এনালাইসিস, ওয়াইফাই টেস্টিং কোন কিছুই বাদ যাবে না এই কোর্সে।

ক্রিপটোগ্রাফি— অনলাইনে ডাটা সিউকিউর করার জন্য এনক্রিপশনের কোন তুলনা হয়না। ক্রিপটোগ্রাফি এমন এক টেকনিক যেটা সাধারণ পড়ার যোগ্য ভাষাকে পরিবর্তন করে পড়ার অসম্ভব করে তোলা হয়। যেহেতু ক্রিপটোগ্রাফি আমাদের প্রয়োজনীয় ডাটা গুলোকে সিকিউরিটি প্রদান করে, তবে অবশ্যই ক্রিপটোগ্রাফি’তে দুর্বলতা থাকলে সেটা সম্পূর্ণ ডাটাকেউ ত্রুটি পূর্ণ করে দিতে পারে। এই কোর্সের সবচাইতে অ্যাডভানস লেভেলের আর্টিকেল গুলো হবে এই ক্রিপটোগ্রাফির উপরে। আমরা এনক্রিপশনের মধ্যের ত্রুটি খুঁজে পাওয়া সম্পর্কে জানবো এবং এনক্রিপশনকে আরো মজবুদ করার পদ্ধতি গুলো রপ্ত করবো। এই এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স এ সকল বহুল ব্যবহৃত এনক্রিপশন ম্যাথড গুলো যেমন- AES(Advanced Entyption Standard), DES(Data Encryption Standard), RSA(Name of the creators), MD5(Message Digest -5), SHA(Secure Hash Algorithm), SSL (Secure Socket Layer) —নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

হ্যাকিং উইথ অ্যান্ড্রোয়েড— আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটিকে কিন্তু যেমন তেমন ভাববেন না, যদি আপনার কাছে কোন কম্পিউটার না থাকে এই মুহূর্তে, অবশ্যই আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এই কোর্সে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজটিকে একটি কমপ্লিট হ্যাকিং মেশিনে তৈরি করেই ছাড়বো। সাথে রাসবেরি-পাই ব্যবহার করে হ্যাকিং করা নিয়েও আলোচনা করবো।

প্রোগ্রামিং (বেসিক)— প্রোগ্রামিং এ ভালো আয়ত্ত থাকা অবশ্যই আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট। যেহেতু আমি নিজেই ভালো প্রোগ্রামার নই, তাই অ্যাডভানস প্রোগ্রামিং এখানে শেয়ার করতে পারব না। তবে বেসিক সবকিছু নিয়েই এখানে আলোচনা করে পোস্ট থাকবে। বিশেষ করে এখানে পাইথনের উপর বেশি জোর দেওয়া হবে।

ডাটাবেজ টেস্টিং অ্যান্ড হ্যাকিং— বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ডাটাবেজ’কে লোকাল কম্পিউটারে ইন্সটল করে রাখে, অথবা ইন্টারনেট সার্ভার থেকে ডাটাবেজ অ্যাক্সেস করে। আর হ্যাকার বড় ধরণের অ্যাটাক চালানোর জন্য প্রথমে ডাটাবেজ’কেই টার্গেট করে। ডাটাবেজে থাকা ত্রুটি সম্পূর্ণ ডাটাবেজটির তথ্য গুলোকে লিক করে দিতে পারে, তাই ডাটাবেজ টেস্টিং এবং ডাটাবেজ ত্রুটি প্যাচ করা সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজনীয়। এই কোর্সে আমরা MySQL এবং Oracle ডাটাবেজের সিকিউরিটি চেকিং শিখবো, সাথে ডাটাবেজ অ্যাটাক, ডাটাবেজ ডাটা কালেকশন, ওয়েব নির্ভর ডাটাবেজ সিকিউরিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আপনার প্রতি কিছু কথা

এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স

আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ছেন এবং সামনের পর্ব গুলোর জন্য উৎসাহিত হয়ে রয়েছেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু আমি বা অন্য কোন হাজার ডলারের পেইড কোর্স কখনোই আপনাকে ভালো হ্যাকার/সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট বানাতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি নিজে থেকে চেষ্টা করবেন। আপনাকে সকল বিষয় গুলো সঠিক অনুশীলন করতে হবে। সাথে বলে রাখি, আপনি যদি অলরেডি অনেক কিছু জানেন বা হ্যাকিং এর যেকোনো একটি বিষয় সম্পর্কে আপনার ভালো আয়ত্ত থাকে, সেক্ষেত্রে এই কোর্সকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রিকবিডিকে কে সাহায্য করুণ। এথিক্যাল হ্যাকিং এর এতো বিশাল কোর্স আমার একার দ্বারা কভার করা একটু বেশিই কষ্ট কর, সাথে অনেক পরিশ্রমের কাজ। যদিও আমি পরিশ্রম করতে বা কাজ করতে ভয় পাই না। কিন্তু তারপরেও আপনার সাহায্য এই কোর্সকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনার এই কোর্সের সাথে কাজ করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা থাকলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

আর এই কোর্সের কোন হ্যাকিং টেকনিক ব্ল্যাক হ্যাট কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ওয়েবসাইট, ডাটাবেজ, মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হ্যাক, কম্পিউটার অ্যাক্সেস ইত্যাদি হ্যাকিং এর জন্য আমি নিজেই ওয়েবসাইট বা ডাটাবেজ প্রদান করবো যেখানে আপনি টেস্টিং করতে পারবেন। কিন্তু অন্যের ওয়েবসাইটের উপর হ্যাক অ্যাটাক চালানো যাবে না। এথিক্যাল হ্যাকিং এর মূল মন্ত্র ভুলে গেলে কখনোই চলবে না, অবশ্যই আপনাকে সর্বদা ১০০% সৎ থাকতে হবে। আর যদি আপনি কোন অসৎ উদ্দেশ্যে এই কোর্সের শেখানো হ্যাকিং ম্যাথড গুলোকে ব্যবহার করেন, সেই ক্ষেত্রে তার দ্বায়ভার শুধু আপনার হবে।

আমি এতো কষ্ট করে সকল কোর্স ফ্রী’তে পাবলিশ করবো আর আপনি কিছুই করবেন না, সেটা হলে কিন্তু চলবে না। অবশ্যই আপনাকেও এখানে কিছু করতে হবে, আমাদের সকলের জন্য করতে হবে। অবশ্যই আপনাকে কোর্সের আর্টিকেল গুলো যতোটা সম্ভব শেয়ার করতে হবে। আমি যতো ভালো রেসপন্স পাবো আপনাদের কাছ থেকে ততো দ্রুত সব পর্ব গুলো পাবলিশ করবো। আমার অনুপ্রেরণা হলেন আপনারা। আর আমাকে অনুপ্রেরণা জোগানর দায়িত্ব আপনাদের।


তো ব্যাস এই ছিল আজকের সূচনা পর্ব, আপনি নিশ্চয় পূর্ণ ধারণা পেয়ে গেলেন আমরা কি কি বিষয়ের উপর বিস্তারিত জ্ঞান পেতে চলেছি।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আগামী পর্বে আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 


[HACKING] নেটওয়ার্কিং নিয়ে এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স Part: ২

$
0
0

কল্পনা করুণ, আপনি যদি এই দুনিয়াতে একমাত্র ব্যাক্তি হতেন তাহলে কি আপনাকে কোন কিছু নিয়ে টেনশন করতে হতো? আপনার কোন কিছু হারানোর ভয় থাকতো না, কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকতো না, কোন লোভ, লালসা, আর অস্থিরতাও থাকতো না। সর্বদা হয়তো সৃষ্টিকর্তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতেন, এতো কিছু আপনাকে উপহার দেওয়ার জন্য! ঠিক কম্পিউটিং ওয়ার্ল্ডে যদি “নেটওয়ার্কিং” টার্মটি না থাকতো, আজকের অনেক মডার্ন কম্পিউটিং টেক কল্পনাও করা যেতো না, যেমন- ইন্টারনেট! একসাথে অনেক কম্পিউটার যুক্ত হওয়ার জন্যই যতোসব সমস্যার শুরু, এর ফলেই খারাপ লোকেরা আপনার সিকিউরিটি ব্রেক করার চেষ্টা করবে আর সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। নেটওয়ার্কিং টার্মটি না থাকলে, আজকের এই হ্যাকিং টার্মটিও হয়তো শুনতে পারতেন না। যেমনটা উপরের উদাহরণ থেকে বুঝতে পারেন, এক সাথে পৃথিবীতে বহু মানুষ রয়েছে বলেই এতো প্রতিযোগিতা, এতো হিংসা বিদ্বেষ।

আসলে যখন কোন কোর্স পাবলিশ করার চেষ্টা করা হয়, সেক্ষেত্রে এটা খুব একটা মুশকিলের কাজ নয়, আপনাকে কোন টপিক কিভাবে বুঝানো হবে—বরং মুশকিলের কাজ হচ্ছে কোন টপিকের পর কোন টপিক বোঝানো হবে। অর্থাৎ বলতে পারেন সূচি পত্র, আর কম্পিউটিং আর হ্যাকিং লাইনের সূচি বানানো একটু মুশকিলের, আপনি যদি এই কাজ আগে না করে থাকেন, তো যতোবড়ই এক্সপার্ট হোন না কেন আপনার বিষয় গুলো গুছিয়ে নিতে একটু প্যারা পেতে হবে! তো আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই, আমি ঠিক করতেই পারছিলাম না, কোন টপিকের পর কোন টপিক শুরু করবো, কেনোনা প্র্যাক্টিক্যালি এই বিষয় এতোটা সুবিশাল যে সুগঠিত সূচি তৈরি করাটা একটু মুশকিলের।

যাই হোক, একেবারে গোঁড়া থেকে শুরু করতে যাচ্ছি, আর তা হলো নেটওয়ার্কিং। তবে আমি সম্পূর্ণ কোর্সটিকে একটু আলাদাভাবে সাজাতে চেষ্টা করবো। যখন নেটওয়ার্কিং নিয়ে আলোচনা করছি, এর মানে এই নয় শুধু নেটওয়ার্কিং নিয়েই সিরিয়াল পর্ব প্রকাশ করেই যাবো! নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করতে করতে হয়তো ওয়াইফাই এর দিয়ে চলে যাবো, তারপরে হয়তো ওয়াইফাই সিকিউরিটি টেস্টিং এর দিকে চলে যাবো, আবার নেটওয়ার্কিং এর আলাদা টার্মে চলে যাবো, তারপরে হয়তো ওয়েব সার্ভার রিলেটেড বিষয়ের দিকে চলে যাবো। সম্পূর্ণ কোর্সটিকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রন করবো যাতে আপনারা কখনোই আকর্ষণ হারিয়ে না ফেলেন! কেনোনা হাউসেই বিদ্যা! তো, আশা করছি কোর্সের সামনের পর্ব গুলো সম্পর্কে আপনার মোটামুটি ধারণা হয়ে গিয়েছে! এবার আর একটিও অপ্রয়োজনীয় কথা ছাড়া, সরাসরি নেটওয়ার্কিং এর ভেতরে গমন করা যাক…

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

যখন একাধিক কম্পিউটার একসাথে একই প্রোটোকলে যুক্ত হয়ে কাজ করতে শুরু করে, সহজ ভাষায় একে সাধারণ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা হয়। আপনি যখনই একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটার যুক্ত করানোর চেষ্টা করবেন বা কথা বলানোর চেষ্টা করবেন, অবশ্যই আপনাকে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। আপনি ব্লুটুথ ব্যবহার করে এক ফোন থেকে আরেক ফোনে ফাইল বা গান ট্র্যান্সফার করার সময়ও নেটওয়ার্কিংই করে থাকেন। তো এটা একেবারেই বোঝা জলের মতো সহজ, একাধিক কম্পিউটার একই জালে যোগ করে দেওয়ার মাধ্যমেই নেটওয়ার্কিং এর জন্ম হয়। তবে এখানে কিছু গভীর লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। চিন্তা করে দেখুন, আপনি যখন একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটার যোগ করছেন, সেক্ষেত্রে এখানে আরো কি কি জিনিষ সামনে চলে আসছে! প্রথমত অবশ্যই কম্পিউটার নিজেই একটি টার্ম, তারপরে কিভাবে এদের নিজেদের মধ্যে কানেক্ট করানো হচ্ছে। যদি তারের মাধ্যমে কানেক্ট করানো হয়, সেক্ষেত্রে ওয়্যার নির্ভর নেটওয়ার্ক আর যদি বিনা তারে কানেক্ট করানো হয়, সেক্ষেত্রে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক।

নেটওয়ার্কিং

দুইটি কম্পিউটার হয়তো অনেক সহজেই ডাইরেক্ট কানেকশন তৈরি করে একে ওপরের সাথে কানেক্টেড করাতে পারবেন, কিন্তু যদি কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আরেকটি তৃতীয়পক্ষ ডিভাইজের প্রয়োজন পড়বে, যেটা সকল কানেকশন গুলোকে মেইন্টেইন করবে। যেমন ধরুন সহজেই আপনি একটি বা দুইটি প্লাগ সরাসরি ওয়াল সকেটে কানেক্ট করতে পারবেন, কিন্তু যদি টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জার, একসাথে কানেক্ট করা প্রয়োজনীয় হয়ে পরে তখন ম্যাল্টি-প্ল্যাগ প্রয়োজনীয় হয়। নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে রাউটার, হাব, এবং সুইচ —এই কাজটিই করে থাকে।

এবার ব্যাস কম্পিউটার গুলোকে এক কানেকশনে জুড়ে দিলেন, কিন্তু তারপরেও টেকনিক্যালি নেটওয়ার্ক তৈরি হবে না, যতোক্ষণ পর্যন্ত কম্পিউটার গুলো একই প্রোটোকলে কাজ করতে আরম্ভ না করবে, অবশ্যই প্রত্যেক কম্পিউটার’কে প্রত্যেকের ভাষা বুঝতে হবে। ধরুন আমি বাংলা বলি আর আপনি বলেন চাইনিজ, সেক্ষেত্রে কি কখনো আপনার আর আমার মধ্যে কমিউনিকেশন সম্ভব হবে? আরেকটি হার্ডওয়্যার অংশ নেটওয়ার্কিং সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করে, সেটা হচ্ছে আপনার কম্পিউটারে থাকা নেটওয়ার্ক কার্ড। পূর্বে এটি আলাদা করে লাগানোর প্রয়োজন পড়ত, কিন্তু বর্তমানে সকল কম্পিউটারের সাথে এটি ডেডিকেটেড ভাবেই লাগানো থাকে।

আইপি অ্যাড্রেস

এখন ধরুন, আপনি একাধিক কম্পিউটারকে একত্রে একটি নেটওয়ার্কে জুড়ে দিয়েছেন, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটার কিভাবে কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটারের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে? ধরুন আপনি একটি ম্যাল্টি-প্ল্যাগে ১০টি ইলেকট্রিক ডিভাইজ যুক্ত করে রেখেছেন, এখন যদি এতে কারেন্ট প্রদান করেন তো প্রত্যেকটি ডিভাইজ সমানভাবে কারেন্ট রিসিভ করবে। কিন্তু আপনি যদি নির্দিষ্ট ইলেকট্রিক ডিভাইজকে নির্দিষ্ট কারেন্ট প্রদান করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই কানেক্টেড থাকা ডিভাইজ গুলোর একটি পরিচয় থাকা প্রয়োজনীয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কেও বিষয়টি অনেকটা একই রকম। আইপি অ্যাড্রেস হলো কোন কম্পিউটারের ভার্চুয়াল পরিচয়, যেটার সাহায্যে নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা যেকোনো কম্পিউটারকে সহজেই খুঁজে বেড় করা সম্ভব।

আইপি অ্যাড্রেস

আইপি অ্যাড্রেস, সাধারণত দেখতে “১৫১.১০১.৬৫.১২১” —এই রকমের হয়ে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন টাইপের আইপি অ্যাড্রেস থাকতে পারে আর টাইপ অনুসারে এর নাম্বারিক পরিবর্তনও হতে পারে। তো আমরা উপরের রেফারেন্স অনুসারে কাজ করবো। প্রথমে আমরা কম্পিউটার গুলোকে একত্রে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করেছি এবং এখন আমাদের কাছে সকল কম্পিউটারের ইউনিক পরিচয় রয়েছে, অর্থাৎ যেকোনো স্পেশাল কম্পিউটারে স্পেশাল ডাটা বা কম্যান্ড সেন্ড করা সম্ভব হবে।

এখন অবশ্যই নেটওয়ার্কিং এর দুইটি আলাদা ভাগ রয়েছে। যদি আপনি নিজের বাড়িতে বা অফিসে থাকা কম্পিউটার গুলোকে একসাথে তারের মাধ্যমে কানেক্ট করে বা ওয়্যারলেস ভাবে কানেক্ট করে নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, তো সেটা লোকাল নেটওয়ার্ক বলা হবে। যদি আপনার লোকাল নেটওয়ার্ককে বাইরের হাযারো-লাখো লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে জুড়ে দেন, তো সেটাকেই ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট নিয়ে বিস্তারিত এখানে আর কিছুই বলবো না, অলরেডি বেস্ট আর্টিকেল পাবলিশ করে রেখেছি, পড়ে নিতে পারেন। লোকাল নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেট অনেকটা একইভাবেই কাজ করে, কিন্তু জিনিষ আলাদা থাকে। যেমন ধরুন, আপনি যখন বাড়িতে থাকেন, সেখানে আপনি নিজেই বস, কেনোনা আপনার বাড়ি, ঠিক? আবার যখন বাইরে থাকেন, বা অফিসে থাকেন, সেখানে আরেক নিয়মে আপনাকে চলতে হয়, কেনোনা সেখানে বস অন্যকেউ।

আইপি টাইপ

উপরে যে আইপি অ্যাড্রেসের বর্ণনা করেছি, সেটা হচ্ছে আইপি ভার্সন ৪ —যেটা অলরেডি শেষ হয়ে গিয়েছে। যখন আপনি ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকবেন, অবশ্যই এর মানে লাখো ডিভাইজের সাথে কানেক্টেড হয়ে গেলেন তাই না। কিন্তু সেখানে তো অবশ্যই ইউনিক অ্যাড্রেস প্রয়োজনীয় হবে, রাইট? ব্যাট ভার্সন ৪ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা এক নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্র্যান্সলেসন পদ্ধতি ব্যবহার করে এই আইপি ৪ এর ঘাটতি পূরণ করছি।

আগেই বলেছি, অনেক টাইপের আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে, এবং সকলের রুল নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। প্রাইভেট আইপি, পাবলিক আইপি, স্ট্যাটিক আইপি, এবং ডাইন্যামিক আইপি। প্রাইভেট আইপি হলো আপনার লোকাল নেটওয়ার্কের ব্যবহৃত আইপি অ্যাড্রেস। আগেই বলেছি, আইপি ৪ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু প্রাইভেট নেটওয়ার্কে আপনি এমন কোন আইপি যদি ব্যবহার করেন, যেটা আলাদা বা অন্য নেটওয়ার্কে থাকা ডিভাইজেরও রয়েছে, আপনার নেটওয়ার্কের কোন কিছু যায় আসবে না। কেনোনা নিজের নেটওয়ার্ক, নিজের রুলস! ১০.০.০.০ থেকে ১০.২৫৫.২৫৫.২৫৫ | ১৭২.১৬.০.০ থেকে ১৭২.৩১.২৫৫.২৫৫ | এবং ১৯২.১৬৮.০.০ থেকে ১৯২.১৬৮.২৫৫.২৫৫ —এই রেঞ্জের আইপি গুলোকে প্রাইভেট আইপি হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়। এখন এর মধে আপনার কম্পিউটারের প্রাইভেট আইপি হতে পারে “১৯২.১৬৮.০.১০” এইটা কিন্তু ইন্টারনেট আইপি নয়, এটা আপনার নিজস্ব আইপি। এখন ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড হতে অবশ্যই পাবলিক আইপি প্রয়োজনীয় হবে।

পাবলিক আইপি সেই আইপি যেটা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার আপনাকে প্রদান করে। আপনি কম্পিউটার অন করলেন, আর ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড হলেন, এর অর্থ কি? এর অর্থ হচ্ছে আপনি আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের কম্পিউটার কানেক্ট করলেন, এবং তার কাছ থেকে একটি পাবলিক আইপি গ্রহন করলেন। বন্ধু, এখানেই নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্র্যান্সলেশন বা ন্যাট (NAT) কে কাজে লাগানো হয়। আপনার রাউটার শুধু মাত্র পাবলিক আইপি গ্রহন করে এবং আপনার লোকাল বা হোম নেটওয়ার্কের প্রাইভেট আইপি গুলোকে পেছনে লুকিয়ে রাখে। রাউটার সকল কানেক্টেড থাকা ডিভাইজ গুলোকে একটি প্রাইভেট আইপি প্রদান করে এবং যখন কোন কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেটের কাছে রিকোয়েস্ট করা হয়, রাউটার সেই রিকোয়েস্ট গ্রহন করে এবং পাবলিক আইপিতে পাঠিয়ে দেয়। পাবলিক আইপি থেকে ফিরে আশা রিকোয়েস্ট রাউটারের কাছে আসে, রাউটার সেটা আপনার কম্পিউটারের প্রাইভেট আইপিতে পাঠিয়ে দেয়, কেনোনা রাউটার ভালো করেই জানে, কোন প্রাইভেট আইপি থেকে রিকোয়েস্টটি এসেছিলো, এবং কোথায় সেটাকে পাঠাতে হবে! বুঝতে পারলেন তো? এভাবেই ন্যাট ব্যবহার করে ইন্টারনেটকে জীবিত করে রাখা হয়েছে।

ডাইন্যামিক আইপি | স্ট্যাটিক আইপি

বেশিরভাগ পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন হতে থাকে। মানে আপনি একবার ইন্টারনেট কানেক্ট করলেন, আপনাকে এক পাবলিক অ্যাড্রেস দেওয়া হলো, কিন্তু ডিস্কানেক্ট করে আবার কানেক্ট করলে আরেক পাবলিক আইপি দেওয়া হয়, বিশেষ করে মোবাইল অপারেটর’রা এই কাজটি বেশি করে থাকে। তো যদি কোন আইপি পরিবর্তন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সেটাকে ডাইন্যামিক আইপি বলা হয়। ধরুন, আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন না, তারপরেও তো আপনাকে সেই পাবলিক আইপি দিয়ে রাখার কোন দরকার নেই তাই না? এই আইএসপি রা অন্য কাস্টমারকে সেই আইপি দিয়ে দেয়। এমনতিই আইপি অ্যাড্রেসের ঘাটতি রয়েছে, বুঝতেই তো পাড়ছেন!

তবে আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট হোস্ট করতে চান, সেক্ষেত্রে স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজনীয় হবে। যদি আইপি পরিবর্তন হতেই থাকে, কেউ আপনার কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। আর ওয়েবসাইট গুলো আপনার কম্পিউটারের মতোই কম্পিউটারে হোস্ট করা থাকে। আপনার হোম নেটওয়ার্ক যেমন পাবলিক আইপির সাথে কানেক্টেড হয়ে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পায়, ঠিক সার্ভার নেটওয়ার্কও পাবলিক আইপির সাথেই কানেক্টেড হতে হয়। বুঝলেন তো, বিষয়টা আসলে সব জায়গাতেই একই। আপনি যদি নিয়মিত আপনার বাড়িতে কুরিয়ার সার্ভিস রিসিভ করতে চান, তাহলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট এবং অপরিবর্তনশীল ঠিকানা প্রয়োজনীয় হবে। যদি ঠিকানা চেঞ্জ হতেই থাকে, তো বলুন কিভাবে আপনার বাড়ি বারবার খুঁজে পাওয়া যাবে?

ডিএনএস

ওয়েবসাইট গুলোতে সরাসরি আইপি না ব্যবহার করে ডোমেইন নাম (যেমন- banglabd.net) ব্যবহার করা হয়, যেটা মনে রাখা অনেকবেশি সহজ এবং এতে অনেক সুবিধাও রয়েছে। কিন্তু আইপি ছাড়া কোন কম্পিউটার কানেক্ট করা সম্ভব নয়। তাই যখন আপনি ডোমাইন নাম ব্রাউজারে প্রবেশ করান, ব্রাউজার ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সার্ভারের জন্য খোঁজ করতে আরম্ভ করে। ডিএনএস এ সেই তথ্য থাকে, ঐ ডোমেইনটি কোন আইপিতে টার্গেট করা রয়েছে, এর পরে জাস্ট ঐ আইপি থেকে সাইট লোড করা হয়।

ডোমেইন নাম থাকার সুবিধা হচ্ছে একে তো এটি মনে রাখতে সহজ এবং ডিএনএস পরিবর্তন করা যায়। মানে আপনি যদি এক সার্ভার থেকে আরেক সার্ভারে সাইট ট্র্যান্সফার করেন, মানে আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন হয়ে যায় কোন সাইটের সেক্ষেত্রে ডিএনএস পরিবর্তন করে দিলেই হয়, এতে সাইট নাম পরিবর্তন করার দরকার পড়ে না। ইউজার বুঝতেই পারবেনা, সার্ভার পরিবর্তন করা হলো কিনা। কিন্তু আপনার আইএসপি ডিএনএস রেকর্ড আপডেট করতে একটু দেরি করতে পারে, ফলে ডোমেইনের পেছনে আইপি পরিবর্তন হলে সাথে সাথে রেকর্ড থেকে সেই আইপি না পেয়ে আগের আইপি চলে আসে, তাই সাইট ডাউন থাকতে পারে। এজন্যই ওয়্যারবিডি সার্ভার পরিবর্তন করার পরে কিছু সময় আপনারা ঢুকতে পারেন না।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান)

যদিও উপরের আলোচনা থেকে ল্যান সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা হয়ে গিয়েছে, তারপরেও একটু আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজনীয়! আগেই বলেছি, যে কম্পিউটার গুলো ফিজিক্যালি অনেক কাছে থাকে এবং তার বা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে, সেই নেটওয়ার্ককেই ল্যান বলে। ল্যানের মধ্যে কানেকশন ইথেরনেট ক্যাবল, বা ওয়াইফাই ব্যবহার করে দেওয়া যেতে পারে এবং রাউটার, হ্যাব, সুইচ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় হয়।

ল্যানে ডিভাইজ গুলো সরাসরি একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকে। যেকোনো ডিভাইজ যেকোনো ডিভাইজের সাথে কানেকশন তৈরি করতে পারে এবং ডাটা সেন্ড বা রিসিভ করতে পারে, যেটাকে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক বলা হয়, বলতে পারেন যেভাবে টরেন্ট নেটওয়ার্ক কাজ করে। কিন্তু ইন্টারনেটের মতো বড় নেটওয়ার্ক এইভাবে কাজ করে না, সেখানে মধ্য হিসেবে থাকে ওয়েব সার্ভার কম্পিউটার, যেকোনো রিকোয়েস্ট পূর্বে সার্ভারের কাছে যায় তারপরে ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের কাছে ফাইল/ওয়েবপেজ যায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ঠিক কতোবড় তৈরি করা সম্ভব? —দুইটি ডিভাইজ থেকে শুরু করে হাজারো বা লাখো ডিভাইজ দিয়ে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব, কিন্তু লাখো ডিভাইজ থাকার পরেও এটাকে ইন্টারনেট বা যাবে না, এর জন্য আপনাকে বাকী দুনিয়ার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে হবে। কিন্তু লাখো ডিভাইজের লোকাল নেটওয়ার্ক’কে আপনার নিজস্ব ইন্টারনেট বলতে পারেন।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

আগেই বলেছি, অনেক টাইপের নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং প্রত্যেকের ভূমিকা এবং গুরুত্ব আলাদা আলাদা, ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এদের মধ্যে অন্যতম, ইন্টারনেটকে ওয়্যান (WAN) (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক) বলতে পারেন। এখানে ওয়্যান বলতে বহু দূরত্বে থাকা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক’কে বুঝানো হয়েছে। ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক গোটা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। নেটওয়ার্ক ডিভাইজ রাউটার, এই ল্যান এবং ওয়্যান কে একসাথে কানেক্টেড করে। মানে আপনি লোকাল নেটওয়ার্ক থেকে যখন ইন্টারনেটে কানেক্ট হোন, এর মানে আপনি ওয়্যানের সাথে কানেকশন তৈরি করেন। কিন্তু ওয়্যানকেউ সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বলা যাবে না। ধরুন আপনি একটি ব্যাংক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন, প্রত্যেকটি ব্যাংকে একটি করেলোকাল নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং ব্যাংকের শাখা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে, এখন সকল লোকাল নেটওয়ার্ক গুলোকে যদি কানেক্টেড করিয়ে দেন, এক্ষেত্রে টেকনিক্যালি ওয়্যান তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু সেটাকে কতক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেট বলা যাবে না, যতক্ষণ কোন আইএসপি থেকে কানেকশন নিয়ে এই ওয়্যানে কানেক্টেড করবেন। তো বলতে পারেন, আইএসপি যেকোনো ল্যান বা ওয়্যানে ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করে।

আরো কিছু টাইপের নেটওয়ার্ক রয়েছে, যেমন;

  1. WLAN – Wireless Local Area Network
  2. MAN – Metropolitan Area Network
  3. SAN – Storage Area Network, System Area Network, Server Area Network, or sometimes Small Area Network
  4. CAN – Campus Area Network, Controller Area Network, or sometimes Cluster Area Network
  5. PAN – Personal Area Network

ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক মূলত ওয়াইফাই বা আলাদা ওয়্যারলেস টেকনোলোজির উপর নির্ভরশীল, যে ল্যান ওয়াইফাই দিয়ে কানেক্ট করবেন, তাকে ডাব্লিউ ল্যান বলতে পারেন। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এটি ল্যান থেকে বড় কিন্তু ওয়্যান থেকে ছোট হয়ে থাকে। ফাইবার চ্যানেল টেকনোলজি ব্যবহার করে ডাটাবেজ বা স্টোরেজ বিশেষ কম্পিউটার গুলো নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকলে একে স্যান বা স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়। বড় এবং হাই কনফিগ কম্পিউটার গুলোকে একসাথে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার মাধ্যমে ক্লাস্টার এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।


তো এই ছিল দ্বিতীয় পর্বের নেটওয়ার্কিং নিয়ে আজকের কোর্স এখানেই শেষ করছি।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আগামী পর্বে আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

[HACKING] আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স Part: ৩

$
0
0

এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স পর্ব গুলো একটু দ্রুত প্রকাশ করলে, জানি সকলের মুখ গুলো খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে যায়! আর বিশ্বাস করুণ বন্ধুরা, আপনাদের আমি এরকমই হ্যাপি আর পরিতৃপ্ত দেখতে চাই! পর্ব ২ তে বলেছিলাম, নেক্সট পর্বে শুধু বেসিক নয়, বরং সাথে কিছু অ্যাডভান্স বিষয় নিয়েও হাজির হবো, তো ব্যাস হাজির হয়ে গেলাম। যারা এই পর্ব প্রথম পড়ছেন, অবশ্যই আগের আরো দুইটি অসাধারণ পর্ব মিস করে ফেলেছেন, যেগুলোকে আমার ট্রিকবিডি আইডিতে খুঁজে পাবেন। গত পর্বে নেটওয়ার্কিং নিয়ে বেসিক বিষয় গুলো আলোচনা করেছিলাম এবং আইপি অ্যাড্রেস সম্পর্কে বেশ ধারণা দিয়েছিলাম, এই পর্বটি শুধু আইপি অ্যাড্রেসের উপরই উৎসর্গ করলাম, কেন না নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্ম।

এই কোর্সে যা যা রয়েছে;

  1. কিভাবে নিজের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাবো?
  2. কিভাবে আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করবো?
  3. যেকোনো ওয়েবসাইট আইপি কিভাবে খুঁজে পাবো?
  4. ইমেইল থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস কিভাবে খুঁজে পাবো?
  5. আইপি অ্যাড্রেস থেকে জিওলোকেশন কি সত্যিই খুঁজে পাওয়া সম্ভব?
  6. 127.0.0.1 আইপি অ্যাড্রেস সম্পর্কে বিস্তারিত!
  7. ডাইন্যামিক হোস্ট কনফিগারেশন প্রোটোকল কি?
  8. আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে কিভাবে ম্যাক অ্যাড্রেস খুঁজে বেড় করবো?
  9. ফরওয়ার্ড এবং রিভার্স আইপি এবং ডিএনএস লুকাপ কি?

তো বুঝতেই পাড়ছেন, কতো অসাধারণ আর প্রিমিয়াম সব তথ্য দিয়ে এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স পর্ব ৩ কে সাজানো হয়েছে! এবার জাস্ট ঠাণ্ডা হয়ে বসুন আর মনোযোগ সহকারে কোর্সটি উপভোগ করুণ!

নিজের আইপি অ্যাড্রেস খোঁজা!

আপনার কম্পিউটারটি ইন্টারনেট বা যেকোনো এক্সটারনাল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত রয়েছে, এর মানে এখানে একসাথে দুইটি আইপি অ্যাড্রেসের ব্যাপার চলে আসে। একটি পাবলিক বা এক্সটার্নাল আইপি অ্যাড্রেস, যেটা আপনার আইএসপি আপনাকে প্রদান করেছে এবং আরেকটি প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস বা লোকাল আইপি অ্যাড্রেস। আগের পর্বে স্পষ্ট করে বর্বণা করেছি, অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন পেতে, যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বা অনলাইন ভিডিও স্ট্রিম করতে অবশ্যই পাবলিক আইপি’র সাথে আপনার কানেক্টেড হওয়া জরুরী। প্রাইভেট আইপি ব্যবহার করে লোকাল নেটওয়ার্কে ফাইল শেয়ারিং, প্রিন্টিং, পোর্ট ফরওয়ার্ডিং, অথবা আপনার রাউটার সেটিং অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

নিজের আইপি অ্যাড্রেস খোঁজা!

তো যদি বলা হয়, নিজের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়ার কথা সেখানে অবশ্যই পাবলিক আইপিকে প্রথমে বুঝানো হয়, যেটাকে আপনার ইন্টারনেট আইপিও বলতে পারেন। হোম নেটওয়ার্কে শুধু আপনার রাউটারের কাছে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে, বাকী কানেক্টেড থাকা ডিভাইজ গুলোকে রাউটার প্রাইভেট আইপির সাথে কানেক্টেড করে রাখে। যাই হোক, যেকোনো পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ কাজ। ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলো আপনাকে আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পেতে সাহায্য করে। জাস্ট নিচের লিস্টে বর্ণিত সাইট গুলো ওপেন করুণ, পেজ খুলতেই আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস দেখতে পাবেন। আরো সহজ পদ্ধতি হচ্ছে, গুগলে গিয়ে “What is my ip” লিখে সার্চ করা!

  1. WhatIsMyIPAddress.com
  2. IP Chicken
  3. WhatIsMyIP.com
  4. IP-Lookup

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন, তবে এই ওয়েবসাইট গুলো আপনার আসল ইন্টারনেট আইপি প্রদর্শিত করতে পারবে না, বরং ভিপিএন সার্ভার আইপি প্রদর্শিত করবে। যেকোনো প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করলে সেই আইপি প্রদর্শিত হবে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে লোকাল আইপি বা প্রাইভেট আইপি খুঁজে বেড় করবেন?

দেখুন, উইন্ডোজের সকল মডার্ন ভার্সনে “ipconfig” ইউটিলিটি কম্যান্ড প্রমটে আগে থেকেই জুড়ে দেওয়া থাকে। জাস্ট আপনার উইন্ডোজ সিএমডি ওপেন করুণ। সিএমডি ওপেন করার জন্য, উইন্ডোজ কী চেপে ধরে থেকে “R” চাপুন, এভাবে রান ওপেন হবে। এবার রানের ফাঁকা ঘরে গিয়ে লিখুন “cmd” এবং কিবোর্ড থেকে এন্টার প্রেস করুণ, ব্যাস কম্যান্ড প্রমট ওপেন হয়ে যাবে। এবার কম্যান্ড প্রবেশ করান, “ipconfig”, দেখবেন সকল আইপি অ্যাড্রেস গুলো এবং নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার গুলোর বিস্তারিত শো করবে। আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে থাকেন, অবশ্যই “Wireless LAN adapter Wi-Fi” সিলেকশন থেকে আপনার লোকাল আইপি দেখানো হবে। আর যদি আপনি ইথারনেট ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে “Ethernet adapter Local Area Connection.” সেকশনে আপনার লোকাল আইপি প্রদর্শিত হবে। লোকাল আইপি দেখতে 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 এর মধ্যে যেকোনো কিছু হতে পারে।

আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন

অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে। অনেকে তাদের পাবলিক আইপি বা ইন্টারনেট আইপি পরিবর্তন করতে পছন্দ করে ব্যান ওয়েবসাইট গুলোকে আনব্লক করতে, কান্ট্রি রেস্ট্রিকশন বাইপাস করতে বা যেকোনো ভিডিও দেখার জন্য। এখানে পাবলিক এবং প্রাইভেট দুই ধরণের আইপি’ই পরিবর্তন করা যায়, আর এদের আলাদা আলাদা সুবিধা রয়েছে। এই পর্বে রাউটার থেকে আইপি পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করবো না, এখানে আলচনা করবো কিভাবে আপনার ইন্টারনেট আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করতে হবে। তবে এখানে সাফ সাফ করে বলে রাখছি, আইপি পরিবর্তন করে যেকোনো অসৎ কাজ করার উদ্দেশ্য থেকে বিরত থাকুন। আপনি যে আইপি’ই পরিবর্তন করুণ না কেন, আপনাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব, যখন আপনি কোন ক্রাইম করবেন। আর আমরা যেহেতু এথিক্যাল হ্যাকিং শিখছি, তাই অবশ্যই আমাদের মনকে সবার আগে সৎ বানাতে হবে।

ভিপিএন

পাবলিক আইপি’ই আপনার লোকাল নেটওয়ার্ক এবং আপনার কম্পিউটার বা যেকোনো ডিভাইজের পরিচয় ইন্টারনেটের সামনে তুলে ধরে। যদি পাবলিক আইপি পরিবর্তন করা হয়, সেক্ষেত্রে আপনার লোকেশন, দেশ এগুলো লুকিয়ে যায়। আপনি ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ক্লায়েন্ট ব্যবহার করে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন। কোন ভিপিএন ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করতে হবে যেটা আপনার কম্পিউটার এবং ভিপিএন সার্ভারের মধ্যে একটি ট্যানেল তৈরি করবে। যেকোনো ইন্টারনেট রিকোয়েস্ট তখন আপনার আইএসপি কম্পিউটার দিয়ে না গিয়ে ভিপিএন সার্ভার হয়ে যাবে এবং এই ট্র্যান্সমিশন সম্পূর্ণ এনক্রিপটেড হয়ে থাকে, তাই আপনার আইএসপি কখনোই বলতে পারবে না, আপনি ইন্টারনেটে কি বা কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। যেহেতু আপনি ভিপিএন সার্ভারে কানেক্ট হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, আর সেই সার্ভার অন্য কোন দেশে অবস্থিত, তাই আপনার পাবলিক আইপি অ্যাড্রেসও ভার্চুয়াল ভাবে পরিবর্তন হয়ে অন্য দেশের হয়ে যাবে।

অনেক ভিপিএন সার্ভিস প্রভাইডার রয়েছে, যারা ফ্রী এবং পেইড সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যদি টেস্ট করতে চান সেক্ষেত্রে ফ্রী ভিপিএন ব্যবহার করে দেখতে পারেন, কিন্তু পার্মানেন্ট ব্যবহার করার জন্য, অবশ্যই আমি পেইড সার্ভিস গ্রহন করতে বলবো। এমন কোন ভিপিএন প্রভাইডার থেকে সার্ভিস নেওয়া প্রয়োজনীয় যারা লগ সেভ করে রাখে না। তবে ভিপিএনও ট্রেস করা সম্ভব।

ভিপিএন ব্যবহার করে সম্পূর্ণ কম্পিউটার বা সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক হাইড করা সম্ভব। যদি আপনার শুধু নির্দিষ্ট দুই একটা ওয়েবসাইট আনব্লক করার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে ওয়েব প্রক্সি ব্যবহার করতে পারেন। গুগলে গিয়ে জাস্ট “web proxy” লিখে সার্চ দিলেই অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন, যাদের মধ্য থেকে অন্যান্য সাইট ভিজিট করতে পারবেন, এতে আপনার আইপি অ্যাড্রেস ভিসিট করা ওয়েব সার্ভার এর কাছে পৌঁছাবে না। ম্যানুয়াল প্রক্সি ব্যবহার করেও আইপি হাইড করা যায়, কিন্তু এক্ষেত্রে আসল আইপি লিক হয়ে যায়, তাই বেস্ট পদ্ধতি হচ্ছে ভিপিএন ব্যবহার করা। অনেক আইএসপি ডাইন্যামিক আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে, মানে আপনি ইন্টারনেট ডিস্কানেক্ট করে কানেক্ট করলেই আপনার আইপি পরিবর্তন হয়ে যাবে। বিশেষ করে মোবাইল অপারেটর’রা ডাইন্যামিক আইপি ব্যবহার করে থাকে।

ওয়েবসাইট আইপি খুঁজে বেড় করা

দুনিয়ার যেকোনো ওয়েবসাইটের কমপক্ষে ১টি আইপি অ্যাড্রেস থাকতেই হবে। ওয়েবসাইটের আইপি অ্যাড্রেস জানার অনেক সুবিধা রয়েছে, যদি ওয়েবসাইট’টি ব্লক থাকে বাইপাস করে নিতে পারবেন, আপনি যদি কোন নেটওয়ার্কের অ্যাডমিন হোন যেকোনো ওয়েবসাইট’কে ব্লক করতে পারবেন, ওয়েবসাইটির সার্ভার কোথায় অবস্থিত সে সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন, এবং আরো অনেক কিছু।

আপনার ওয়েব ব্রাউজারে যখন ডোমেইন নেম প্রবেশ করান ,অবশ্যই আপনার ব্রাউজার প্রথমে আইপি অ্যাড্রেসই খুঁজে বেড় করে, তারপরে ওয়েবসাইট’টি লোড হয়, কিন্তু এই প্রসেস পেছনের দিকে হয়, ফলে আইপি তথ্য ব্রাউজারে প্রদর্শিত করে না। আবার বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো একসাথে অনেক আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে, পৃথিবীর আলাদা প্রান্ত থেকে একই ডোমেইন ব্যবহার করে আলাদা আইপি থেকে সাইট লোড হয়।

আপনি পিং কম্যান্ড ব্যবহার করে অনেক সহজেই যেকোনো সাইটের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পেতে পারেন। উইন্ডোজ কম্পিউটার থেকে সিএমডি ব্যবহার করে জাস্ট কম্যান্ড প্রবেশ করান, “ping techubs.net” (যেকোনো সাইটের নাম প্রবেশ করাতে পারেন) তারপরে এন্টার হিট করলেই “Pinging techubs.net [104.18.41.194] with 32 bytes of data” ডোমেইন থেকে আইপি অ্যাড্রেস বেড় হয়ে যাবে। যদি মোবাইল ডিভাইজ থেকে এই কাজ করতে চান গুগল প্লে এবং অ্যাপ স্টোরে অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে ওয়েবসাইট পিং করতে পারবেন এবং আইপি খুঁজে পেতে পারবেন। যদি কোন ঝামেলায় করতে না চান, জাস্ট এই লিঙ্কে যান আর ডোমেইন নেম প্রবেশ করান, আইপি অ্যাড্রেস পেয়ে যাবেন।

ইমেইল থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস বেড় করা

হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে এরকমটা আপনার বহুবার প্রয়োজনীয় হতে পারে, সামনের ব্যাক্তির আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজনীয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কারো আইপি কিভাবে খুঁজে পাবেন? সৌভাগ্যবসত ইমেইলকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, ইমেইল যে কম্পিউটার থেকে সেন্ড করা হয়েছে, সেই কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস মেইল ম্যাসেজের সাথে জুড়ে যায়। মেইল ডেলেভারি’র সময় তার হেডার থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া যায়। আজকের দিনে মেইল হেডারে আর কেউ ধ্যানই দেয় না, কেনোনা মডার্ন মেইল ক্লায়েন্ট গুলো মেইল হেডারকে হাইড করে রাখে।

আপনি যদি জিমেইল ব্যবহার করে থাকেন, ঐ মেইলটি খুলুন যেটার হেডার চেক করতে চান। এবার উপরের দিকে ডানপাশে “Reply” এই আইকনের পাশে “Down Arrow” ডাউন আর‍্যো কী’তে ক্লিক করুণ, একটি মেন্যু খুলে যাবে, মেন্যু থেকে “Show original” এ ক্লিক করুণ, ব্যাস নিচের মতো মেইল হেডার খুলে যাবে। কিন্তু গুগল জিমেইল হেডার থেকে সেন্ডারের আইপি অ্যাড্রেস বাদ দিয়ে দেয়, শুধু গুগল সার্ভার আইপি যুক্ত করা থাকে, এই অবস্থায় আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।

মেইল হেডার

মাইক্রোসফট হটমেইল সার্ভিসে এক্সটেন্ডেড হেডার সেন্ড করে যেটাকে “X-Originating-IP” বলা হয়, এতে সেন্ডারের আসল আইপি পাওয়া যায়, ইয়াহু মেইল হেডারে Received: entry. থেকে আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া যায়।

আইপি লোকেশন

আইপি অ্যাড্রেস থেকে একেবারে সঠিক জিওগ্রাফিক লোকেশন খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে আপনি যদি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, আপনাকে ডাইন্যামিক আইপি অ্যাড্রেস দেওয়া হয়, যেটা প্রত্যেকবার ডিস্কানেক্ট/কানেক্ট হওয়ার সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে আইপি অ্যাড্রেস থেকে আপনার আইএসপির জিও লোকেশন পাওয়া যেতে পারে, তবে সেটা ১০০% নির্ভুল হয় না। বাইরের দেশে আইপি অ্যাড্রেস অনেক মানুষের নামে রেজিস্টার থাকে, তাদের মোবাইল নাম্বার বা আরো গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন ডাটাবেজে থাকে, সেগুলোকে এই সাইট থেকে চেক করতে পারবেন।

আইপি লোকেশন

তবে একদম ব্যবহারকারীর সঠিক লোকেশন পাওয়া না গেলেও ব্যবহারকারী কোন দেশ থেকে বা কোন আইএসপি’র সাথে কানেক্টেড এই তথ্য গুলো পাওয়া যেতে পারে। তবে সিটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না, আইপি জিও লোকেশন টুল গুলো শুধু আইএসপির সার্ভার লোকেশন ডিটেক্ট করতে পারে, এখন আইএসপি যদি অনেক বড় হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারী কোন শহরে রয়েছে নির্ণয় করা মুশকিল। আপনি যদি গ্রামীণফোন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন রাজশাহী থেকে, তো আপনার আইপি লোকেশন ঢাকা শো করবে। iplocation.net সাইটটি থেকে যেকোনো আইপি অ্যাড্রেস আইএসপি বা কোন কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে তার তথ্য গুলো পেয়ে যেতে পারেন!

127.0.0.1 লোকাল হোস্ট

127.0.0.1 একটি আইপি ভার্সন ৪ আইপি অ্যাড্রেস, যেটাকে লোকাল হোস্ট বলা হয়। প্রত্যেকটি কম্পিউটার এই অ্যাড্রেসকে নিজের হোম বলে দাবী করে, কিন্তু এই অ্যাড্রেস আলাদা কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করা যায় না। আপনার কম্পিউটারে রাউটার থেকে হয়তো 192.168.1.15 —এরকম আইপি অ্যাড্রেস পেয়ে থাকে, সেটা ব্যবহার করে কম্পিউটার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের সবকিছুর সাথে যোগাযোগ ঠিক রাখে, কিন্তু তারপরেও কম্পিউটার 127.0.0.1 কে “This Computer” হিসেবে দাবী করে।

লোকাল হোস্ট

এটাকে লুপব্যাক আইপি অ্যাড্রেসও বলতে পারেন। ধরুন আপনার নিজের কম্পিউটারকে ওয়েব সার্ভার বানিয়েছেন, এক্ষেত্রে লোকাল হোস্ট আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ব্রাউজারে পেজ গুলোকে লোড করতে পারবেন। যখন 127.0.0.1 আইপি অ্যাড্রেস ব্রাউজারে প্রবেশ করাবেন, ব্রাউজার নেটওয়ার্কের মধ্যে পেজ না খুঁজে আপনার কম্পিউটারেই পেজটি খুঁজবে। কেনোনা এটি হোম অ্যাড্রেস! আপনার কম্পিউটার থেকে লোকাল হোস্ট রিকোয়েস্ট করা হলে সেটা কম্পিউটারেই সীমাবদ্ধ থাকবে, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটে সেই রিকোয়েস্ট কখনোই যাবে না।

ডিএইচসিপি (DHCP)

ডিএইচসিপি এর পুরনাঙ্গ নাম ডাইন্যামিক হোস্ট কনফিগারেশন প্রোটোকল। এটি এমন একটি প্রোটোকল যার মাধ্যমে নেটওয়ার্কে দ্রুত, স্বয়ংক্রিয় এবং সেন্ট্রাল আইপি অ্যাড্রেস ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজ করা হয়। সত্যি বলতে আপনার রাউটার একটি ডিএইচসিপি সার্ভার হিসেবে কাজ করে, যেটা সকল ডিভাইজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউনিক আইপি অ্যাড্রেস বন্টন করে থাকে এবং এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণই স্বয়ংক্রিয় হয়ে থাকে।

যখন একটি ডিভাইজ অন হয় এবং রাউটারের কাছে কানেক্ট হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট প্রদান করে সেটাকে DHCPDISCOVER রিকোয়েস্ট বলা হয়। এক্ষেত্রে ডিভাইজ কানেক্ট হওয়ার জন্য রাউটারের কাছ থেকে নতুন আইপি অ্যাড্রেস চেয়ে রিকোয়েস্ট করে। ডিসকভার রিকোয়েস্ট প্যাকেট ডিএইচসিপি সার্ভারের কাছে পৌছার পরে, সার্ভার একটি আইপি অ্যাড্রেস তৈরি করে দেয় যেটা ডিভাইজটি ব্যবহার করে কানেক্ট হতে পারে। সার্ভার থেকে আইপি পাওয়ার পরে ডিভাইজটি আবার DHCPREQUEST প্যাকেট সেন্ড করে নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য। যদি সার্ভার দেখে আইপি অ্যাড্রেস ঠিক আছে আর কানেকশন দেওয়া যাবে, একটি হ্যাঁ মূলক রেসপন্স করে।

এই রিকোয়েস্ট গুলো অনেক দ্রুত প্রসেস হয়ে যায়, তাই ইউজার এগুলোর সম্পর্কে কিছু বোঝারই প্রয়োজন পরে না। ডিএইচসিপি ডাইন্যামিক আইপি স্টাইল ব্যবহার করে, তাই একই লোকাল নেটওয়ার্কে কখনোই সেম আইপির দুইটি ডিভাইজ তৈরি হবে না, আর এটা সম্পূর্ণই স্বয়ংক্রিয়।

ম্যাক অ্যাড্রেস খোঁজা

টিসিপি/আইপি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে আইপি অ্যাড্রেস এবং ম্যাক অ্যাড্রেস একসাথে ব্যবহৃত হয়। যেখানে আইপি অ্যাড্রেস গুলো ভার্চুয়াল অ্যাড্রেস যেটা নেটওয়ার্কে বারবার পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু ম্যাক অ্যাড্রেস পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস হয়ে থাকে, যেটা কখনোই পরিবর্তন হয় না। ম্যাক অ্যাড্রেস সাধারণত নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস অনুসারে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যেমন আপনার ল্যাপটপে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, এবং ইথারনেট রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপে ৩টি ম্যাক অ্যাড্রেস থাকবে। যদি একসাথে দুইটি ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করেন, তাহলে দুইটি ওয়াইফাই এর জন্য আলাদা আলাদা ম্যাক অ্যাড্রেস থাকবে।

ম্যাক অ্যাড্রেস

অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যার জন্য ডিভাইজ ম্যাক অ্যাড্রেস আপনার জানা প্রয়োজনীয় হতে পারে। ধরুন আপনি নেটওয়ার্কে যদি ম্যাক অ্যাড্রেস ফিল্টার করে রাখেন, তাহলে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট ডিভাইজই রাউটারের সাথে কানেক্টেড হতে পারবে, পাসওয়ার্ড জেনেও লাভ নাই, অন্য ডিভাইজকে রাউটার অ্যালাউ করবে না। তাছাড়া ম্যাক অ্যাড্রেস থেকে ডিভাইজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারা যায়।

আপাততো কোন ডিভাইজ যদি ফিজিক্যালভাবে রিচ না করতে পারেন, এর ম্যাক অ্যাড্রেস পাওয়া সম্ভব হবে না। আইপি অ্যাড্রেস আর ম্যাক অ্যাড্রেস আলাদা দুইটি জিনিষ। তবে আপনার কম্পিউটার যদি একই লোকাল নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকে, সেক্ষেত্রে লোকাল নেটওয়ার্ক ডিভাইজের ম্যাক অ্যাড্রেস পেয়ে যেতে পারবেন। আপনাকে কম্যান্ড প্রমট ওপেন করতে হবে এবং কম্যান্ড দিতে হবে “ping 192.168.45.15” এখানে যে ডিভাইজের ম্যাক দেখতে চান তার আইপি দিতে হবে। ডিভাইজটি পিং রিসিভ করলে নিচের মতো রেসপন্স দেখতে পাবেন।

Pinging 192.168.86.45 with 32 bytes of data:
Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=290ms TTL=128
Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=3ms TTL=128
Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=176ms TTL=128
Reply from 192.168.45.15: bytes=32 time=3ms TTL=128

এবার সেম কম্যান্ড সেশনে “arp -a” কম্যান্ডটি প্রবেশ করান, এতে পিং করা ডিভাইজটির ম্যাক অ্যাড্রেস দেখতে পাবেন। নিচের মতো রেসপন্স রিসিভ হবে!

 Interface: 192.168.45.15 --- 0x3
 Internet Address Physical Address Type
 192.168.45.1 70-3a-cb-14-11-7a dynamic
 192.168.45.15 98-90-96-B9-9D-61 dynamic
 192.168.45.255 ff-ff-ff-ff-ff-ff static
 224.0.0.22 01-00-5e-00-00-16 static
 224.0.0.251 01-00-5e-00-00-fb static

তবে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিভাইজ ম্যাক দেখা সম্ভব হবে না, শুধু লোকাল নেটওয়ার্কে এটি কাজে দেবে। এই ম্যাক অ্যাড্রেস আসলে ক্যাশ থেকে শো করে এবং অ্যাড্রেস রেজুলেসন প্রোটোকল ব্যবহার করে আপনি সেটাকে দেখতে পান। সামনের পর্বে ম্যাক অ্যাড্রেস নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো, যেভাবে এই পর্বে আইপি অ্যাড্রেস কভার করছি!

আইপি অ্যাড্রেস ফরওয়ার্ড এবং রিভার্স লুকাপ

আইপি লুকাপ বলতে সেই প্রসেসকে বুঝানো হয়, যখন ইন্টারনেট ডোমেইন নেম থেকে আইপি অ্যাড্রেস ট্রান্সলেসন করা হয়। ফরওয়ার্ড আইপি লুকাপ বলতে ডোমেইন নেমকে আইপি অ্যাড্রেসে কনভার্ট এবং রিভার্স আইপি লুকাপ বলতে আইপি অ্যাড্রেস থেকে ডোমাইনে ব্যাক করার প্রসেসকে বুঝানো হয়। এই পরিভাষা গুলো আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এগুলো পরবর্তী অ্যাডভান্স কোর্স গুলোতে কিন্তু আমি বার বার বর্ণনা করবো না।

অনেক ইন্টারনেট সার্ভিস রয়েছে যেগুলো আইপি লুকাপ এবং রিভার্স লুকাপ দুইটাই সমর্থন করে। আইপি লুকাপ করার জন্য ডিএনএস সার্ভার থেকে ডাটা নেওয়া হয়, রিভার্স লুকাপের জন্যও ডাটাবেজ থাকে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ডোমেইন নেম সল্ভ করে সেই ওয়েব সার্ভারের সাথে কানেক্ট হতে ফরওয়ার্ড লুকাপ প্রয়োজনীয়। কিন্তু আপনি যদি জানতে চান, ঐ আইপি অ্যাড্রেসে কতো গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে, তখন রিভার্স আইপি লুকাপ চেক করতে হবে। আপনি এই অনলাইন রিভার্স লুকাপ টুলটি ব্যবহার করে চেক করতে পারেন, ঐ সার্ভার আইপিতে আরো কতো ওয়েবসাইট হোস্ট করা রয়েছে।


এই পর্বে বেসিক জিনিষ গুলোর সাথে সাথে আপনাকে অনেক কিছু অ্যাডভান্স টার্ম গুলোও শিখিয়ে দিয়েছি। আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে আরেকটি পর্ব আসতে পারে, যেখানে বিভিন্ন রেঞ্জের আইপি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আগাম পর্বে অবশ্যই আরো টেকনিক্যাল বিষয়ের দিকে চলে যাবো। একদমই ভাববেন না, আমি যত টুকু জানি আপনাদের সবকিছুই দান করে দিব। তাই সাথেই থাকুন, আর পরবর্তী পর্বও দ্রুতই আসছে।


তো এই ছিল দ্বিতীয় পর্বের নেটওয়ার্কিং নিয়ে আজকের কোর্স এখানেই শেষ করছি।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আগামী পর্বে আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

ফিরে দেখুন [Android Apps] ৫ টি বেস্ট অ্যাপ পর্বঃ ৩

$
0
0

অ্যাপস তো আমরা সবাই চিনি এবং প্রত্যেকদিনই ব্যবহার করি। অ্যাপস ছাড়া একটি অপারেটিং সিস্টেম কল্পনাই করা যায়না। টেকনিক্যালি বলতে গেলে অ্যাপসই হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রাণ। একটি অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম অ্যাপস থাকে। নেট ব্রাউজ করার জন্য ব্রাউজার অ্যাপস, গান শোনার জন্য মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপস, ডকুমেন্ট এডিট করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা গুগল ডক, ছবি এডিট করার জন্য ফটো এডিটর অ্যাপস এবং এমন শত শত কাজের জন্য হাজারো অ্যাপস থাকে একটি  অপারেটিং সিস্টেমে। আর অপারেটিং সিস্টেমটি যদি হয় অ্যান্ড্রোয়েড, তাহলে তো কথাই নেই, প্লে স্টোরে একই কাজের জন্য কমপক্ষে ১০০ রকমের অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপস পাবেন। যাইহোক, আর বেশি ভূমিকা না করে কাজের কথায় আসি। আজকে আমাদের ফিরে দেখুন [Android Apps] এর তৃতীয় পর্বে আরো ৫ টি এমন অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপস শেয়ার করবো যেগুলো আপনার বা আমার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।

১. Firefox Focus

নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে এটি একটি ব্রাউজার অ্যাপ। এটি বিশ্ববিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা মজিলার তৈরি ফায়ারফক্সের আরেকটি ভার্শন যেটি স্মার্টফোনের জন্য তৈরি করা। অ্যান্ড্রোয়েডের জন্য আগে থেকেই যে অরিজিনাল ফায়ারফক্স ব্রাউজারটি আছে, সেটিও যথেষ্ট ভালো। তবে ফায়ারফক্সের এই ভার্সনটির মেইন ফোকাস হচ্ছে একটি লাইটওয়েট কিন্তু রিলায়েবল ব্রাউজার তৈরি করা যেটি একইসাথে ইউজারদের প্রাইভেসিও নিশ্চিত করবে। এই কারণে এই ব্রাউজারটির নামের সাথে ট্যাগলাইনই দেওয়া হয়েছে, দ্যা প্রাইভেসি ব্রাউজার। এই ব্রাউজারটির ৩৫-৪০ মেগাবাইটের মধ্যে পাবেন প্রথমত, ফায়ারফক্স দাবী করে যে এই ব্রাউজারটি ওয়েবপেজগুলো অন্যান্য ব্রাউজারের থেকে কিছুটা ফাস্ট লোড করতে পারে এবং আরেকটু বেশি রেস্পন্সিভ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে পারে। কারন, এটি সব ওয়েবপেজ থেকে অ্যাডস, অ্যাড ট্র্যাকার, সোশ্যাল ট্র্যাকার এবং অ্যানালিটিক্স ট্র্যাকার ব্লক করে। এছাড়া আরেকটি ভালো ব্যাপার হচ্ছে, ফায়ারফক্স ফোকাস আপনার কোনও ব্রাউজিং হিস্টোরি সেভ করে রাখেনা। আপনি ব্রাউজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সাথেশ সাথেই আপনার সকল ব্রাউজিং ডেটা, ক্যাশ এবং হিস্টোরি ক্লিয়ার করে ফেলে। এছাড়া এই ব্রাউজারটির ইউজার ইন্টারফেসও অনেক আকর্ষণীয় এবং মিনিমাল।

ডাউনলোড ঃ Firefox Focus 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস

২. Androidify

আপনি যদি কখনো Bitmoji ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনি এই অ্যাপটির কনসেপ্টটি বুঝতে পারবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি নিজের একটি পার্সোনাল কার্টুন ক্যারেক্টার তৈরি করতে পারবেন, ঠিক যেমন Bitmoji ব্যবহার করে নিজের একটি পার্সোনাল ইমোজি তৈরি করা যায়। এই অ্যাপটি গুগলের নিজের তৈরি। আর নাম শুনেই যেটা ধারনা করতে পারছেন, এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি নিজের কার্টুন ক্যারেক্টার তৈরি করতে পারবেন অ্যান্ড্রোয়েড স্টাইলে। আপনি নিশ্চই অ্যান্ড্রোয়েডের অফিশিয়াল ঐ গ্রিন কালারের কার্টুনটি দেখেছেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি ঐ একই ফিগারের কার্টুন তৈরি করতে পারবেন নিজের ইচ্ছামত। আপনি কার্টুনটির জামা-প্যান্ট, জুতা, মাথার ক্যাপ, গায়ের রঙ, নাক-চোখ-মুখ সবকিছুই নিজের ইচ্ছামত সাজিয়ে চাইলে নিজের চেহারার মতো করেই সাজাতে পারবেন এবং আপনি তৈরি করা ক্যারেকটারের ইমেজ গ্যালারীতে সেভ করে রাখতে পারবেন এবং চাইলে যেখানে ইচ্ছা শেয়ারও করতে পারবেন।

ডাউনলোড ঃ Androidify 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস

৩. GlassWire

এটি মুলত অ্যান্ড্রোয়েডের জন্য একটি ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল অ্যাপের মতো। এই অ্যাপটি আপনার ফোনের সকল ইনকামিং এবং আউটগোয়িং ডেটা মনিটর করবে এবং আপনাকে লাইভ দেখাবে যে আপনার ফোনের কোন অ্যাপ কতটুকু ডেটা ব্যবহার করছে এবং কোন প্রোসেস বেশি ডেটা ব্যবহার করছে। আপনি চাইলে ডেটা লিমিট সেট করে দিতে পারবেন এবং কোনও অ্যাপ ডেটা ব্যবহার করতে পারবে নাকি পারবে না তাও সেট করতে পারবেন এই অ্যাপটির সাহায্যে। আপনাকে আপনার মোবাইল  ডেটা এবং ওয়াইফাই এর ইউজেস আলাদা আলাদা ভাবে একটি রিয়ালটাইম গ্রাফে দেখানো হবে। এছাড়া আপনি নিজের ইচ্ছামতো ডেটা প্লান সেট করতে পারবেন যাতে আপনার ডেটা শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই আপনি নোটিফিকেশন পেতে পারেন। আমার মতে লিমিটেড ডেটা ইউজারদের জন্য এই অ্যাপটি অনেক কাজের। এই অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেসও অনেক সুন্দর এবং অরগানাইজড। এছাড়া কয়েকটি প্রিলোডেড থিমের সাহায্যে ইউজার ইন্টারফেস চেঞ্জ করারও সুযোগ থাকছে।

ডাউনলোড ঃ GlassWire

৪. KeepSafe

যারা গ্যালারী লকার ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটাই বেস্ট চয়েজ আমার মতে। গ্যালারী লকারের কাজ কি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা সবাই ভালোভাবেই জানেন। এই অ্যাপটির সাহায্যে আপনি আপনার স্টোরেজের যেকোনো পিকচার, মিউজিক এবং ভিডিও ফাইল লক করতে পারবেন।  আপনি যেসব ফাইল লক করবেন, সেগুলো আপনার ফোনের অন্য কোথাও আসবে না। আপনার গ্যালারী, ফাইল ম্যানেজার, থার্ড-পার্টি ফাইল ম্যানেজার কোথাও শো করবে না ফাইলগুলো। আপনি এই ফাইলগুলো শুধুমাত্র এই অ্যাপটি ওপেন করে আপনার সিলেক্ট করা পাসওয়ার্ড বা আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর সাহায্যেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন। আপনি যেসব ফাইল আনলক করবেন সেগুলোই শুধুমাত্র অন্য জায়গায় শো করবে। এখানে আপনি এসব ফাইল ছাড়াও আপনার আইডি কার্ডের কপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদিও লক করে রাখতে পারবেন এখানে যাতে দরকারের সময় অ্যাক্সেস করতে পারেন। আমি মুলত এই অ্যাপটিকে অন্যান্য ফাইল লকারের আগে প্রিফার করি এর স্মার্ট ইউজার ইন্টারফেসের কারণে।

ডাউনলোড ঃ KeepSafe  

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস

৫. Parallel Space

সহজ কথায় বলতে হলে প্যারালাল স্পেস অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি অন্য অ্যাপগুলোর ক্লোন তৈরি করতে পারবেন। আপনি যদি শাওমি ফোন ব্যবহার করেন অর্থাৎ MIUI রম ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি অবশ্যই ডুয়্যাল অ্যাপস ফিচারটির সাথে পরিচিত। এর সাহায্যে আপনি যেসকল অ্যাপে ইউজার অ্যাকাউন্ট অপশন আছে সেসব অ্যাপ এর একই অ্যাপের দুটি ভার্সন বা হোমস্ক্রিনে দুটি অ্যাপ আইকন তৈরি করবেন যে অ্যাপ দুটির ডেটা সম্পূর্ণ আলাদা। যার ফলে, আপনি যদি ফেসবুক অ্যাপের দুটি ভার্সন তৈরি করেন, তাহলে আপনি একই ফোনে দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগিন করে রাখতে পারবেন একসাথে। ঠিক এমনটাই আরও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং মেসেজিং অ্যাপ এবং আরও অনেক অ্যাপের সাথে করতে পারবেন। আর এই প্যারালাল স্পেস অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো অ্যান্ড্রোয়েড ফোনে এই ডুয়াল অ্যাপস ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকে শুধুমাত্র এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে এবং ওপেন করে সিলেক্ট করতে হবে যে আপনি কোন কোন অ্যাপের ক্লোন তৈরি করতে পারবেন।

ডাউনলোড ঃ Parallel Space 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস


তো এই ছিল আরও পাঁচটি অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপস যেগুলো আপনার কাছে প্রয়োজনীয় হতে পারে। এই সিরিজের আগামী পর্বে আরও পাঁচটি অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ শেয়ার করবো। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটিও আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনও ধরনের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। আর আপনার জানামতে যদি এমন ভালো আরও কোনও অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ থাকে, তাহলেও নিচে কমেন্টে জানাবেন বলে আশা করছি।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

ফিরে দেখুন [Android Apps] ৫ টি বেস্ট অ্যাপ পর্বঃ ৪

$
0
0

অ্যাপস তো আমরা সবাই চিনি এবং প্রত্যেকদিনই ব্যবহার করি। অ্যাপস ছাড়া একটি অপারেটিং সিস্টেম কল্পনাই করা যায়না। টেকনিক্যালি বলতে গেলে অ্যাপসই হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রাণ। একটি অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম অ্যাপস থাকে। নেট ব্রাউজ করার জন্য ব্রাউজার অ্যাপস, গান শোনার জন্য মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপস, ডকুমেন্ট এডিট করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা গুগল ডক, ছবি এডিট করার জন্য ফটো এডিটর অ্যাপস এবং এমন শত শত কাজের জন্য হাজারো অ্যাপস থাকে একটি  অপারেটিং সিস্টেমে। আর অপারেটিং সিস্টেমটি যদি হয় অ্যান্ড্রোয়েড, তাহলে তো কথাই নেই, প্লে স্টোরে একই কাজের জন্য কমপক্ষে ১০০ রকমের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস পাবেন। যাইহোক, আর বেশি ভূমিকা না করে কাজের কথায় আসি। আজকে আমাদের ফিরে দেখুন [Android Apps] এর চতুর্থ পর্বে আরো ৫ টি এমন অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপস শেয়ার করবো যেগুলো আপনার বা আমার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।

১. MI File Explorer

এটা মূলত শাওমির তৈরি ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপ তাদের অ্যান্ড্রোয়েড স্কিন MIUI এর জন্য। আপনি যদি শাওমি ফোন এবং MIUI ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে এই অ্যাপটি আগে থেকেই আপনার ফোনে আছে ডিফল্ট ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপ হিসেবে এবং আপনি ব্যবহারও করছেন। তবে কিছুদিন আগে শাওমি তাদের এই ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে রিলিজ করে যাতে অ্যাপটি শুধুমাত্র MIUI ইউজারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং প্রায় সব কম্পিটেবল অ্যান্ড্রয়েড ইউজারই এই ফাইল এক্সপ্লোরারটি ব্যবহার করতে পারে। বিশেষ করে যারা স্টক অ্যান্ড্রোয়েড ইউজার, তাদের জন্য এই অ্যাপটি বেশি দরকার হতে পারে। কারন, স্টক অ্যান্ড্রোয়েডের ডিফল্ট ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপটি সাধারণত খুব ভালো এবং ফিচারফুল হয়না।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

তবে শাওমির তৈরি এই ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপটি আমার মতে, সবথেকে ফিচারফুল এবং সবথেকে স্ট্যাবল ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। সাধারনত ফোনের সব ফাইল ম্যানেজ এবং ব্রাউজ করা ছাড়াও, ZIP এবং RAR ফাইল এক্সট্রাক্ট করা, ফাইল শেয়ার করার জন্য নিজের সম্পূর্ণ স্টোরেজকে এফটিপি সার্ভার হিসেবে হোস্ট করা, স্টোরেজ ক্লিন করা, ডুপ্লিকেট ফাইল খুঁজে বের করা এবং ডিলিট করা এই ধরনের অনেক প্রয়োজনীয় ফিচারস আছে এই অ্যাপটিতে যা আপনি অধিকাংশ ফোনের ডিফল্ট ফাইল এক্সপ্লোরার অ্যাপে পাবেন না। এছাড়া এই অ্যাপটি যথেষ্ট রেসপনসিভ এবং এটির ইউজার ইন্টারফেসও অনেক মিনিমাল এবং সুন্দর।

ডাউনলোড MI FILE EXPLORER

২. CornerFly

আপনি নিশ্চই এখনকার নতুন স্মার্টফোনগুলোর ডিসপ্লে দেখেছেন। এখনকার নতুন স্মার্টফোনগুলোর মেজর ডিসপ্লে ফিচারই হচ্ছে চিকন বেজেল, ১৮ঃ৯ ডিস্প্লে এবং রাউন্ডেড কর্নার। আপনার ফোনটি যদি এই নতুন স্মার্টফোন ট্রেন্ডের মধ্যে না থেকে থাকে, তাহলে হয়তো আপনার কিছুই করার নেই, তবে আপনি চাইলে রাউন্ডেড কর্নারের স্বাদ ঠিকই নিতে পারবেন এই অ্যাপটির সাহায্যে। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ফোনের ডিসপ্লের চারদিকের কোনাগুলো রাউন্ডেড করে দিতে পারবেন যা আপনার ডিস্প্লেকে অনেকটা এই মডার্ন ট্রেন্ডের ডিসপ্লে মতো লুক দিতে সাহায্য করবে।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

এই অ্যাপটি জাস্ট ইন্সটল করে প্রয়োজনীয় পারমিশন অ্যালাউ করে টগল থেকে অ্যাক্টিভেট করে দিলেই হয়ে যাবে। এই অ্যাপটির ফ্রি ভার্শনে আপনি শুধুমাত্র আপনার ফোনের ডিসপ্লের কোনাগুলোকে রাউন্ড করতে পারবেন। তবে কতটুকু রাউন্ড করতে হবে সেটাও নিজের ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারবেন যদি আপনি অ্যাপটির পেইড ভার্শন পারচেজ করেন। পেইড ভার্শন পারচেজ করলে ইন-অ্যাপ অ্যাডসগুলোর থেকেও মুক্তি পাবেন।

ডাউনলোড CORNERFLY

৩. Google Tasks

এটি গুগলের একেবারেই নতুন তৈরি একটি অ্যাপ। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটি টাস্ক রিমাইন্ডার অ্যাপ। এই আপটিতে মুলত আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত টাস্ক অ্যাড করে দিতে পারবেন যেগুলো আপনার মনে রাখা দরকার এবং কোন টাস্কটি কখন কমপ্লিট করতে হবে তাও আপনি এখানে সেট করে রাখতে পারবে যাতে নির্ধারিত সময় এই অ্যাপটি আপনাকে নোটিফিকেশন দিয়ে রিমাইন্ড করে দিতে পারে। কোন টাস্ক কমপ্লিট হয়ে গেলে সেই অ্যাপটি কমপ্লিটেড হিসেবে কেটে দিতে পারবেন। আপনার ডেইলি লাইফেকে অরগানাইজড রাখার জন্য একটি টাস্ক রিমাইন্ডার অ্যাপ ব্যবহার করা অবশ্যই বেটার।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

এছাড়া এই অ্যাপটি সবসময়ই ক্লাউডে সিংক হতে থাকে। এর ফলে আপনি আপনার একই গুগল অ্যাকাউন্ট লগইন করে আপনার যেকোনো ডিভাইস থেকে আপনার টাস্ক লিস্ট দেখতে পারবেন। আপনি যদি জিমেইলের নতুন ইউআইটি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি আপনার ব্রাউজারে জিমেইল ওপেন করলেই পাশে ছোট একটি উইন্ডোতেও এই টাস্কগুলো ম্যানেজ করতে পারবেন। আপনি যদি অন্য কোন টাস্ক ম্যানেজার অ্যাপ আগে থেকেই ব্যবহার করেন, তাহলে অন্য একটি অ্যাপে সুইচ করার কোন মানে নেই। তবে যদি ব্যবহার না করেন, তাহলে গুগলের এই নতুন টাস্ক ম্যানেজার অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করতে পারেন।

ডাউনলোড GOOGLE TASKS

৪. MI Drop

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটিও শাওমির তৈরি একটি অ্যাপ। এটি মূলত শাওমির তৈরি একটি ফাইল শেয়ারিং অ্যাপ যা শাওমি ফোন বা MIUI ইউজারদের জন্য তৈরি। আপনি শাওমির MIUI ইউজার হলে আপনার ফোনে এই অ্যাপটি আগে থেকেই আছে। তবে MI Explorer এর মতো এই অ্যাপটিও শাওমি কিছুদিন আগে গুগল প্লে স্টোরে রিলিজ করেছে অন্যান্য সব অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের জন্য। এই অ্যাপটি একেবারেই সবথেকে জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং অ্যাপ ShareIT এর মতো। অর্থাৎ, আপনি ফাইল নিতে চাইলে সেন্ডারকে Send ক্লিক করতে হবে এবং আপনাকে Receive ক্লিক করতে হবে আর আপনি ফাইল সেন্ড করতে চাইলে বিপরীতটি।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

এই অ্যাপটির ফাইল শেয়ারিং স্পিড একেবারেই ShareIT এর মতো যেহেতু এটিও ShareIT এর মতো একই Wifi File Sharing টেকনোলজি ব্যবহার করে। তবে ShareIT এর থেকে এই অ্যাপটিকে আমি বেশি পছন্দ করি কারন, এই অ্যাপটি একেবারেই অ্যাড ফ্রি যেখানে ShareIT এ অ্যাডস এর পরিমান অনেক বেশি। এছাড়া এই অ্যাপটির অনেক লাইটওয়েট এবং মিনিমাল। এছাড়া এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি এফটিপি সার্ভার তৈরি করে হাই স্পিডে আপনার মোবাইল থেকে পিসিতেও ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন।

ডাউনলোড MI DROP

৫. Screener

আপনি হয়তো এতক্ষন ধরে এখানে যে অ্যাপগুলো নিয়ে কথা বলেছি সেই অ্যাপগুলোর দেওয়া স্ক্রিনশটগুলো দেখেছেন যেখানে স্ক্রিনশটগুলোকে একটি ডিভাসের মকআপের মধ্যে প্লেস করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই স্ক্রিনশটগুলোকে এইভাবে এডিট করা হয়েছে এই Screener অ্যাপটি ব্যবহার করে। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি নিজের ইচ্ছামত অনেক অনেক ডিভাইসের মকআপ পাবেন এবং মকআপগুলো ব্যবহার করে আপনার স্ক্রিনশটগুলোকে এভাবে সুন্দর করে এডিট করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

শুধুমাত্র এমনই করতে হবে তা নয়। আপনি আপনার নিজের ইচ্ছামত কাস্টোমাইজ করতে পারবেন আপনার স্ক্রিনশটগুলো। এই অ্যাপটি মুলত আপনার শেয়ার করা স্ক্রিনশটগুলোতে আরেকটু বেশি প্রোফেশনালিটি এনে দেবে। আমি যেকোনো স্ক্রিনশট শেয়ার করার সময়ই এই অ্যাপটি ব্যবহার করি। যারা ফোনে অনেক বেশি স্ক্রিনশট নেন এবং শেয়ার করেন, তাদের জন্য অন্যতম দরকারি একটি অ্যাপ হতে পারে এটি। আর হ্যা, এই অ্যাপটিতে আপনি প্রায় মডার্ন সব স্মার্টফোনেরই মকআপ পাবেন এবং এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ অ্যাড-ফ্রি।

ডাউনলোড SCREENER

তো এই ছিল আজকের পর্ব আর একটি পর্বের মাধ্যমে ফিরে দেখুন [Android Apps] পর্বটি শেষ করব ইনশাআল্লাহ।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

ফিরে দেখুন [Android Apps] ৫ টি বেস্ট অ্যাপ পর্বঃ ৫

$
0
0

অ্যাপস তো আমরা সবাই চিনি এবং প্রত্যেকদিনই ব্যবহার করি। অ্যাপস ছাড়া একটি অপারেটিং সিস্টেম কল্পনাই করা যায়না। টেকনিক্যালি বলতে গেলে অ্যাপসই হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রাণ। একটি অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম অ্যাপস থাকে। নেট ব্রাউজ করার জন্য ব্রাউজার অ্যাপস, গান শোনার জন্য মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপস, ডকুমেন্ট এডিট করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা গুগল ডক, ছবি এডিট করার জন্য ফটো এডিটর অ্যাপস এবং এমন শত শত কাজের জন্য হাজারো অ্যাপস থাকে একটি  অপারেটিং সিস্টেমে। আর অপারেটিং সিস্টেমটি যদি হয় অ্যান্ড্রোয়েড, তাহলে তো কথাই নেই, প্লে স্টোরে একই কাজের জন্য কমপক্ষে ১০০ রকমের অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপস পাবেন। যাইহোক, আর বেশি ভূমিকা না করে কাজের কথায় আসি। আজকে আমাদের ফিরে দেখুন [Android Apps] এর পঞ্চম পর্বে আরো ৫ টি এমন অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপস শেয়ার করবো যেগুলো আপনার বা আমার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।

Tide

আমাদের প্রতিদিনের শত ব্যাস্ততার মাঝে বিশ্রাম নেওয়ার বিকল্প নেই। Tide এমনই একটি অ্যাপ যেটি আপনাকে বিশ্রাম নিতে এবং ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। এবং আপনি যদি এমন  ধরনের মানুষ হয়ে থাকেন, যে খুব সহজেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন এবং আপনি যদি আপনার কোন একটি কাজে ফোকাস করতে চান তাহলে Tide অ্যাপটি আপনার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অ্যাপ হবে। এই অ্যাপে আপনি মুলত কিছু সাউন্ড ইফেক্ট পাবেন যেগুলো আপনার কাজের জায়গায় খুব লো ভলিউমে প্লে করে রাখলে এগুলো আপনাকে অন্যমনস্ক হওয়া থেকে বিরত রাখবে এবং আপনার কাজে আপনাকে আরও বেশি ফোকাস করতে সাহায্য করবে।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

এখানে আপনি হালকা বৃষ্টির শব্দ, বাতাসের শব্দ, রাতের ঝিঝি পোকার শব্দ, সমুদ্রের পানির শব্দ ইত্যাদি সাউন্ড ইফেক্ট পাবেন এবং প্রত্যেকটি সাউন্ড খুবই ক্লিয়ার এবং রিল্যাক্সিং। আপনি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এই সাউন্ডগুলো প্লে করে রাখতে পারবেন। এছাড়াও এই অ্যাপটিকে আপনি একটি অ্যালার্ম ক্লক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। রাতে ঘুমানোর সময় আপনি অ্যালার্ম সেট করে দিলে এটি সেই সময় পর্যন্ত লো ভলিউমে এমন একটি রিল্যাক্সিং সাউন্ড প্লে করবে যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে। এই অ্যাপটিকে আপনি আরও অনেক কাজেই ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী। এই অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেসটিও অসাধারন এবং এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ অ্যাড-ফ্রি।

ডাউনলোড

VPN Hub

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটি একটি ভিপিএন অ্যাপ। আর নাম শুনে ও লোগো দেখে যদি এটা না বুঝে থাকেন যে এই নতুন ভিপিএন অ্যাপটি কার তৈরি, তাহলে আপনাকে বুঝতেও হবেনা। এই ভিপিএন অ্যাপটি প্লে স্টোরের অন্যান্য প্রিমিয়াম ভিপিএন অ্যাপেরই মতো, তবে এটিকে এখানে ফিচার করলাম, কারন এই ভিপিএন অ্যাপটি ফ্রি সার্ভিসেই ইউএস এর সার্ভার দিয়ে থাকে যা প্লে স্টোরের খুব কম ভিপিএন অ্যাপই দেয়। অন্যান্য অধিকাংশ ভিপিএন অ্যাপের প্রিমিয়াম সাবসক্রিপশন না নেওয়া পর্যন্ত আপনাকে নিজের ইচ্ছামত সার্ভারে কানেক্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়না। এখানেও আপনাকে দেওয়া হবেনা, তবে আপনাকে এখানে ভিপিএন প্রোভাইডারের ইচ্ছামতো অপটিমাল লোকেশনও নিতে হবেনা। ফ্রি ভার্সনে আপনি একটি সার্ভারই পাবেন এবং সেটি ইউএস সার্ভার।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

অ্যাপটি প্রথমবার ইন্সটল করলে আপনাকে ৭ দিনের জন্য প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনও দেওয়া হবে বিনামুল্যে যার সাহায্যে আপনি ৭ দিনের জন্য ওই ভিপিএন অ্যাপে এভেইলেবল সবগুলো সার্ভার ব্যবহার করতে পারবেন। স্পিড এবং লেটেন্সির দিক থেকে এটি অন্যান্য অধিকাংশ ফ্রি ভিপিএন অ্যাপের থেকে অনেক বেটার। আপনি চাইলে এটির প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনও নিতে পারবেন যার জন্য আপনাকে প্রতি মাসে প্রায় ৮০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে। তবে অধিকাংশ মানুষের জন্য ফ্রি ভার্সনের ইউএস সার্ভারটিই যথেষ্ট হবে বলে আমি মনে করি। কারন, ভিপিএন আমরা অনেকে ব্যবহার করি শুধুমাত্র ইউএস সার্ভারের জন্যই।

ডাউনলোড

Android Messages

এই অ্যাপটি গুগলের তৈরি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ যেটিকে অনেকেই হয়তো চেনেন এবং ব্যবহারও করেন। গুগলের পিক্সেল ফোনগুলোতে ডিফল্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে এই অ্যাপটিই দেওয়া হয়। তবে এই অ্যাপটি প্লে স্টোরেও আছে, যার ফলে যেকোনো মডার্ন অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই এই অ্যাপটি ইন্সটল এবং ব্যবহার করা সম্ভব। ফোনের ডিফল্ট মেসেজিং অ্যাপটি যদি আপনার ভালো না লাগে এবং থার্ড পার্টি কোন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে চান, তাহলে আমার মতে এটিই বেস্ট থার্ড পার্টি মেসেজিং অ্যাপ। গুগলের খুবই সুন্দর ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন, রেসপনসিভ ইউজার ইন্টারফেস তো আছেই, এছাড়া আরেকটি দরকারি ফিচার হচ্ছে, আপনি জিমেইল অ্যাপ থেকে সোয়াইপ করে ইমেইল ডিলিট করার মতো এই অ্যাপে লেফট/রাইট সোয়াইপ করে মেসেজ আর্কাইভ এবং ডিলিটও করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

এছাড়া এই মেসেজিং অ্যাপে খুব সহজে এক ক্লিকেই যেকোনো OTP বা টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড কপি করতে পারবেন যা একটি মেসেজিং অ্যাপের জন্য সবথেকে দরকারি ফিচার বলে আমি মনে করি। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের মতো মোবাইল থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করে পিসির সাহায্যে মেসেজ চেক করা এবং মেসেজ সেন্ড করার সুবিধাও আছে এই অ্যাপটিতে। এর ফলে যাদের মোবাইলের ডিফল্ট মেসেজিং অ্যাপে মানুষের সাথে শর্ট চ্যাট করার অভ্যাস আছে, তাদের আরও একটু সুবিধা হবে। থার্ড পার্টি মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই গুগলের এই মেসেজিং অ্যাপটি ট্রাই করে দেখবেন।

ডাউনলোড

Clipboard Manager

এমন অনেকসময়ই হয়ে থাকে যে আমরা কোন লিংক বা কোন টেক্সট কাউকে সেন্ড করার জন্য ফোনের ক্লিপবোর্ডে কপি করে রেখে দেই এবং কিছুক্ষন পরেই ভুলে যাই। এরপরে যখন মনে পড়ে সেন্ড করার কথা, তখন আর সেটি পেস্ট করতে পারিনা কারন ততক্ষনে ফোনের ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি ক্লিয়ার হয়ে যায়। আপনি স্মার্টফোন ইউজার হয়ে থাকলে কখনো না কখনো এই সমস্যায় পড়েছেন এবং বিরক্ত হয়েছেন। তবে Clipboard Manager অ্যাপটি আপনাকে এই ঝামেলার থেকে মুক্তি দিতে পারে।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

এই অ্যাপটি ইন্সটল করা থাকলে, নেক্সট টাইম থেকে যতবার আপনি ফোনে কোন লিংক বা কোন টেক্সট কপি করবেন, সবগুলো এই অ্যাপে অটোমেটিক পেস্ট হয়ে যাবে এবং সবগুলো ছোট ছোট নোট আকারে লিস্টের মতো জমা হবে। তাই আপনার ক্লিপবোর্ড ক্লিয়ার হয়ে গেলেও আপনি জাস্ট এই অ্যাপটি ওপেন করে আপনার কাঙ্খিত টেক্সটটি আবারও কপি করতে পারবেন কিংবা চাইলে সেখান থেকেই শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়া আপনি এই অ্যাপটি নোট লেখার কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপটির ইউজার ইন্টারফেস যথেষ্ট ক্লিন এবং একইসাথে সম্পূর্ণ অ্যাড-ফ্রি।

ডাউনলোড

BackDrops

নাম শুনেই নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে এটি একটি ওয়ালপেপার অ্যাপ। যারা প্রত্যেকদিন ফোনের ওয়ালপেপার চেঞ্জ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি অ্যাপ হতে পারে এটি। এই অ্যাপটি ওপেন করলেই প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ালপেপার দেখতে পারবেন গ্রিড আকারে সাজানো। প্রত্যেকটি ওয়ালপেপারই হাই রেজুলেশনের। আপনি সেখান থেকে যেকোনো ওয়ালপেপার সিলেক্ট করে ইনস্ট্যান্টলি সেটি এক ক্লিকে আপনার ফোনের ওয়ালপেপার হিসেবে সেট করে ফেলতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ওয়ালপেপার ব্রাউজ করতে পারবেন। যেমন- আর্ট, ডিজাইন, নেচার, মহাকাশ, ইলিউশন, ম্যাটেরিয়াল, মিনিমাল ইত্যাদি। প্রত্যেকটি সেকশনেই আপনি কিছু সুন্দর ওয়ালপেপার পাবেন।

 

আপনি চাইলে আপনার যে ওয়ালপেপারগুলো সবথেকে বেশি ভালো লাগে সেগুলোকে ফেভারিট করে মার্ক করে রাখতে পারবেন এবং সেগুলো অ্যাপের ফেভারিট সেকশনে চলে যাবে এবং কখনো হারিয়ে যাবেনা। আপনি আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের সাহায্যে সাইন ইন করে আপনার ফেভারিট ওয়ালপেপারগুলোকে সবগুলো ডিভাইসে সিংক করতে পারবেন। এই অ্যাপটিতে কিছু কিছু অ্যাডস আছে তবে তা খুবই কম এবং একেবারেই ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে খারাপ করে দেয়না। তবে আপনি চাইলে অ্যাপটির প্রিমিয়াম ভার্সন পারচেজ করে সবধরনের অ্যাডস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া সব ওয়ালপেপারগুলো হাই রেজুলেশনে আপনার ফোনে ইমেজ ফাইল হিসেবে সেভ করার ফিচারটিও পাবেন যদি প্রিমিয়াম ভার্সন পারচেজ করেন।

ডাউনলোড

তো এই ছিল আজকের পর্ব এই পর্বের মাধ্যমে ফিরে দেখুন [Android Apps] পর্বটি শেষ করলাম।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

[HACKING] ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক নিয়ে এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্স শেষ Part: ৪

$
0
0

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কি

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক হচ্ছে রেডিও ওয়েভ দিয়ে পরিচালিত নেটওয়ার্ক। এটা মূলত বাকি ১০ টা ল্যান কানেকশনের মতই কিন্তু এখানে তারের বদলে একাধিক কম্পিউটার রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে কানেক্টেড হয়ে থাকে। এখানে কম্পিউটার বলতে আপনি মোবাইলকে ধরতে পারেন আবার আপনার কম্পিউটার কেও ধরতে পারেন। কিন্তু একে অপরের সাথে কানেক্ট হতে চাইলে আপনাকে কোন মাধ্যমের সাহায্য নিতে হবে যেমন ধরুন ওয়াইফাই রাউটার, আপনাকে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট হতে হলে রাউটারের সাথে আগে কানেক্ট হবে তার পরে আপনি ইন্টারনেটে কানেক্ট হতে পারবেন। তো বুঝতে পেরেছেন হইতো এখন আসি পরের কথায়, আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কেও কি LAN, PAN, WAN, MAN আছে কি না?

হ্যা, বন্ধুরা আছে। আপনাকে বুঝতে হবে ওয়্যারলেস শুধু মাত্র একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম। সাধারণ ইথারনেট কানেকশন বা ক্যবল কানেকশন যেভাবে কানেক্টেড হয়, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সেভাবে কানেক্টেড হয় না। পার্থক্য শুধুমাত্ত্র এই জায়গাতেই আর কিছু না।ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কেরও রয়েছে LAN, PAN, WAN, MAN।

আসুন জেনে সংক্ষেপে জেনে নিই এই গুলো সম্পর্কেঃ ওয়্যালেস নেটওয়ার্ক কি!

ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WLAN

WLAN নিয়ে আলোচনা করার আগে আমি বলে রাখি, এটা নিয়ে শুধু এটা নিয়েই না বাকি সকল নেটওয়ার্ক গুলো নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো না, কেননা, এই গুলো নিয়ে এর আগে আলোচনা করা আছে। WLAN বুঝার আগে আপনাকে বুঝতে হবে LAN কি?

একাধিক কম্পিউটার কোন ক্যাবলের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে সেটাই ল্যান। কিন্তু আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আমরা ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করি সেটাও তো ল্যান লাইনের মাধ্যমে আমাদের ইন্টারনেট দিয়ে থাকে। ঠিক তখনি আপনার মাথা চন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়, কিন্তু এখানে চিন্তা করার কিছুই নেই। আপনি শুধু ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবুন আপনি যেই কম্পিউটার ব্যবহার করছেন তার একটা প্রাইভেট আইপি আছে কিন্তু ইন্টারনেটে আপনার আইপি চেক করলে কেন অন্য আইপি দেখায়? কেননা আপনার আইপি হিসাবে তখন কাউন্ট করা হয় আপনার আইএসপির আইপি টাকে এর মানে আপনার প্রাইভেট আইপি টা হাইড হয়ে গেছে কিন্তু কেন? এবার আরেকটু ভাবুন তো আপনি শুধু আপনার আইএসপি থেকে কানেকশন নিয়েছে? নাহ আরো অনেকেই নিয়েছে সবার কিন্তু একই সম্যসা দেখা দিচ্ছে কিন্তু কেন কেন কেন?

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কি

এর কারণ হচ্ছে আপনি কিন্তু লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাঝেই আছেন কিন্তু সেটা আপনার আইএসপির সাপেক্ষে। আপনার কম্পিউটার আমার কম্পিউটার, সিয়াম ভাই এর কম্পিউটার সবার যদি একটি কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট থাকে তাহলে তো সেটা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক হবে। আর যেই কম্পিউটার থেকে আপনাদের নিয়ত্রন করা হয়  সেই কম্পিউটার টা থাকে আপনার আইএসপির কাছে। ঠিক এই কারনে আপনার আইএসপির এফটিপি সার্ভার থেকে ডাওনলোড করলে অনেক ভাল স্পিড পেয়ে থাকেন যা আপনি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত অন্য কম্পিউটার থেকে পাবেন না। কিন্তু আপনি যখন অন্য কম্পিউটারে ঢুকতে যাচ্ছেন অব্যশই সেটা হতে হবে আপনার লোকাল এরিয়ার বাইরে 😀 তখন আপনি ঢুকছেন আপনার আইএসপির কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে আর ঠিক এই কারনেই আপনার আইপি হিসাবে আপনার প্রাইভেট আইপি দেখায় না।

অনেক কথা হয়েছে ভাই আর না এবার আসি WLAN এর কথায়। কি এটা কি আপনাকে বুঝানো লাগবে? বুঝেন নাই বেপার টা? তাহলে আসেন আবার বুঝায় আর যদি আগেই বুঝে থাকেন থাহলে আপনি আরেকবার বুঝে নেন বুঝতে গেলে আমরা কোন টাকা নিনা :p

আসলে LAN এর ব্যপারে যা যা বলেছি আপনি শুধু সেটাকে একটু পরির্বতন করে ভাবুন। ল্যানে আপনি ব্যবহার করতেন ক্যাবল কিন্তু WLAN আপনি ব্যবহার করছেন রেডিও ওয়েভ। এবার ভাবতে পারেন তাহলে আপনার কম্পিউটার হবে যেটা সব কিছু নিয়ত্রন করবে। আরে ভাই আছে না রাউটার, রাউটারের কাজ টাই তো এটা। এটা আপনাকে রেডিও ছড়িয়ে কানেক্ট করে নিবে আবার আপনার সকল কিছু নিয়ত্রন করেবে। যদি এর পরেও না বুঝেন তাহলে সব থেকে ভাল উদাহরন ভাই আপনি কি মিনি মিলিশিয়া খেলেছেন? যদি খেলে থাকেন তাহলে আপনি কি করেন আপনার আরো বন্ধুর সাথে একসাথে বসে আপনার মোবাইল থেকে সাবাই কে কানেক্ট করে নিয়ে খেলা শুরু করে দিলেন। কিন্তু ভেবে দেখুন আপনি কানেক্ট হয়েছেন কোথায়? কিভাবে? আপনি কানেক্ট হয়েছেন রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে আর আর আপনি কানেক্ট হয়েছেন আপনার বন্ধুদের সাথে। এর অর্থ আপনি WLAN কানেক্ট করে নিয়েছেন। শুধু কি তাই আপনার ফোনটা একই সাথে রাউটারের কাজ টাও করে ফেলছে।

একটা কথা আমি জানি আপনার মাথায় অনেক চিন্তা ও অনেক প্রশ্ন আসবে LAN ও WLAN নিয়ে আরো আলোচনা করা হবে। কিন্তু বেসিক পর্বে এত কিছু আলোচনা করলে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না। তাই এবার যায় পরের কাহিনিতে। 😀

ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক ( WMAN )

আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন WMAN বলতে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি? সহজ কথায় WMAN হচ্ছে MAN এর ওয়ারলেস ভার্সন, MAN নেটওয়ার্কে যেখানে তার বা ক্যাবল ব্যবহার করা হত WMAN এ ওয়্যারলেস মানে রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করা হয়।এই খানেও আপনাকে যদি WMAN নেটওয়ার্ক কে বুঝতে হয় আপনাকে তার আগে MAN নেটওয়্যার্কে বুঝতে হবে। MAN হচ্ছে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক যদি এখানে মেট্রপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বলতে বুঝানো হয়েছে অনেক গুলো ল্যান লাইনকে এক সাথে সংযোগ করে  নতুন ইন্টারফেস দেয়া। যেমন আমি কুষ্টিয়া শহরে থাকি এবার এবার আমার শহরের বিভিন্ন স্থানে ল্যান সংযোগ লাগানো হয়েছে, এখন সব গুলো লাইন আমাদের কুষ্টিয়া শহর কভার করে ফেলেছে। এখন এটাই হচ্ছে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক। তবে এর সব থেকে বড় উদাহরণ হিসাবে আপনি ধরতে পারেন আপনার ব্রডব্যান্ড কম্পানিকে। এবার আপনি যদি আপনার শহরকে কভার করতে অনেক গুলো ল্যান লাইন কে ওয়্যারলেসের সাথে কানেক্ট করে অনেক যায়গাই স্থাপন করেন এবং সেটার মাধ্যমে আপনি পুরো শহর কভার করেন তবে সেটা হচ্ছে ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক। 😀

এথিক্যাল হ্যাকিং ফ্রী কোর্সঃ পর্ব ৪

পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN)

নাম শুনেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন PAN আসলে কেমন হতে পরে! হা, ঠিকি ধরেছেন PAN মূলত পার্সোনাল কাজের জন্য ব্যবহার করা নেটওয়ার্ক। এবার আপনি বলতে পারেন ভাই আপনি এই খানে PAN বলেছেন কিন্ত WPAN বলেন নি কেন? আসলে ভাই PAN বলতে গেলে মূলত ওয়্যারলেসের ব্যাপার টাই আসে, তাছাড়া এই ব্যাপার টা নিয়ে হয়তো অনেকেই জানেন না তাই আলাদা করে কিছু লিখি নাই। PAN এর বড় উদাহরন হিসাবে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার মোবাইলের হট স্পটকে। যেখানে আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ওয়েভ ছড়াচ্ছেন এবং আপনার নেটওয়ার্কের আওতাই আরো অনেকে আছে। তবে একটা বিষয় জেনে রাখুন PAN নেটওয়ার্ক কিন্তু LAN নেটওয়ার্কের ক্ষুর্দ সংস্করন। কেননা PAN নেটওয়ার্ক বানাতে গেলে নিশ্চিত ভাবে আপনাকে LAN বা WLAN বানানো লাগবেন। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। 🙂

ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (VPN)

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই নামটা অনেক আগে থেকেই শুনে এসেছি আমরা, এনেকেই হইতো অনেক কাজেই এটাকে সফটওয়্যার হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এটা কোন সফটওয়্যার না এটা মূলত হচ্ছে একটা নেটওয়ার্ক। আসুন তাহলে একটু বুঝে নিই, VPN মূলত সার্ভার কেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক (সার্ভার কথাটি বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে)। এখন সার্ভার টা কি? সার্ভার বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে অন্য কোন স্থানে রাখা কম্পিউটার। এর আসলে কোন শরীরি অবস্থান নেই কিন্তু পৃথিবীর অনেক স্থান থেকে অনেকেই এই সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে পারে। এটাকে অনেক ক্ষেত্রে EPN বা Enterprise Private Network বলা হয়ে থাকে কেননা অনেক ক্ষেত্রে অনেকে এটাকে ক্রয় করে ব্যবহার করে থাকেন।

হোম রাউটার কমপ্লিট সেটআপ

অনেকে এটা একটি অহেতুক লেখা হিসাবে ধরে নিতে পারেন কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনি এটাকে অহেতুক ভাবলেও এটা অহেতুক না। আপনি যদি নিজের সিকিউরিটি নিজে দিতে না পারেন তাহলে আপনি তো এথিক্যাল হ্যাকার হতে পারবেন না। তাছাড়া শুধু মাত্ত্র রাউটার হ্যাক করেই আপনি অনেক কিছু হ্যাক করার সামর্থ রাখেন। বিস্তারিত ভাবে আপনাদের আস্তে আস্তে শেখানো হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে হোম রাউটার কমপ্লিট ভাবে সেট আপ করবেন।

বেসিক কনফিগারেশন ও কানেকশন

বেসিক কনফিগারশন বলতে এই ধাপে আপনি জানবেন কিভাবে রাউটার টা কানেকশন করানো হয় ও সাধারণ কনফিগারেশন। তাহলে চলুন জেনে নিই

১। প্রথমে আপনার রাউটার টা ল্যান লাইনের সাথে সংযুক্ত করুন।

২। এবার আপনার রাউটারের পেছনে দেখেন কিছু পোর্ট বা হাব আছে সেই গুলোর সাথে আপনার ইথারনেট কেবল টা যুক্ত করুন এবং সেটা আপনার কম্পিউটারের ল্যান পোর্টের সাথে যংযুক্ত করুন। যদি কেও ইথারনেট ক্য্যাবল ব্যবহার করতে না চান সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার রাউটারের বক্সে বা রাউটের পেছনে দেখুন একটা পাসওয়ার্ড দেয়া আছে। এবার আপনি আপনার ওয়াই-ফাই টা সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে কানেক্ট করুন। যদিও কিছু কিছু রাউটারের অটমেটিক ভাবে কানেকশন নিয়ে নেই।

৩। এবার আপনার কম্পিউটারের বা মোবাইল ডিভাইসের যেকোন ব্রাউজারে গিয়ে 192.168.1.1 অথবা 192.168.0.1 এই আইপি ঢুকুন। এইটা হচ্ছে আপনার লোকাল আইপি প্রায় সকল রাউটারে এইটাই ডিফল্ট হিসাবে থাকে।

৪। আপনার সামনে একটি ওপরের মত একটা পেজ মানে লগইন পেজ ডিফল্ট ইউজার নেম পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। যেহেতু আমি টিপি-লিঙ্ক রাউটার ব্যবহার করি সেহেতু আমার ডিফল্ট ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড হচ্ছে admin:admin । কিন্তু সকল কোম্পানির রাউটারের ডিফল্ট ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড একই না। সেটা জানার জন্য আপনি আপনার রাউটারের ইন্সট্রাকশন বই টা একটু পড়ে নিন সেখানে দেওয়া আছে। যদি ৮০% ওয়াই-ফাই ব্যবহার কারী টিপি-লিঙ্ক ব্যবহার করে। 😀

৫। আপনি এবার ওপরের মত একটা পেজ পাবেন যদিও সব রাউটারে একই ইন্টারফেস না কিন্তু নিয়ম প্রায় সকল রাউটারের একই। এবার আপনি Quick Setup পেজে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি নতুন পেজে ঢুকে যাবেন।

৬। এবার আপনি ওপরের মত একতা পেজ পাবেন, যদি প্রথম স্টেপে না পান তবে Next করবার কোন অপশন থাকতে পারে। যাই হোক আপনি এই পেজে ঢুকার পরে আপনি Auto-Detection ক্লিক করে Next এ ক্লিক করুন। কেননা আপনি যদি না জেনে থাকেন আপনার টা কি কানেকশন তবে এটা আপনাকে অটোমেটিক সেট আপ পেজে নিয়ে যাবে। যদি আপনার WAN কানেকশনটি PPPoE কানেকশন হয় তবে আপনি এমন একটা পেজ পাবেন। এবার আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনি লগইন করে ফেলুন। যদি আপনি এটা না জানেন তবে আপনার আইএসপির সাথে যোগাযোগ করে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড নিয়ে নিন।

যদি আপনার Static IP বা Real Ip  হয় তবে আপনার নিচের মত এমন পেজ আসবে, সেইখানে আপনার আইপি এন্ড্রেস ও গেটওয়ে মাস্ক সব কিছু বসিয়ে সেভ করিয়ে দিন। এই গুলো আপনি আপনার আইএসপি কোম্পানির কাছে থেকে নিয়ে নিবেন।

ওয়াই-ফাই সেট আপ

যেহেতু আপনি ওয়াই-ফাই চালাবেন তাই রাউটার কিনেছেন এখন তো আপনাকে ওয়াই-ফাই সেট আপ করতে হবে। আসুন দেখে নিই কিভাবে ওয়াই-ফাই সেট আপ করবেন।

১। প্রথমে আপনি Wireless বা Wireless Settings এ যাবেন, সেই খানে থেকে আপনি আপনার SSID বা আপনার ওয়াই-ফাই এর নাম দিবেন ও আপনার password Create করুন।

২। ওয়াই-ফাই এর পাসওয়ার্ড ইনক্রিপশন হিসাবে অব্যশয় WPA-PSK/WPA2-PSK সিলেক্ট করে দিন। কেননা এটাই হচ্ছে সব থেকে আপডেট ওয়াই-ফাই ইনক্রিপশন ফরমেট।

কিভাবে আপনার ওয়াই-ফাইকে আরো সিকিউর করবেন

নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি হচ্ছে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা আপনি যদি আপনার ওয়াই-ফাইকে যথেষ্ঠ সিকিউরিটি না দিতে পারেন আপনার ওয়াই-ফাই যেকোন সময় হ্যাক হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাহলে আপনি আর কি করতে পারেন আপনার ওয়াই-ফাই কে নিরাপদ রাখতে?

টেনশন নিবেন না, ওয়্যারবিডি আছে আপনার পাশে। 😀

১। আমাদের সব থেকে বড় যে ভুল টা করে থাকি সেটা হচ্ছে আমাদের রাউটারের ডিফল্ট ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড আমরা পরিবর্তন করি না কিন্তু এটা হচ্ছে সব থেকে বড় ভুল। কেননা ডিফল্ট ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড কোন কিছুতেই ব্যবহার করা ঠিক না। তাই খুব দ্রুত আপনি এটা পরিবর্তন করে নিন। কিভাবে করবেন? প্রথমে আপনি  রাউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে যান> System Tools > Password এবং আপনি আপনার পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম টি পরিবর্তন করুন।

২। আমরা আরেক টা ভুল করি সেটা হচ্ছে আমাদের ওয়াই-ফাই এর পাসওয়ার্ড আমরা ছোট ও সাধারণ পাসওয়ার্ড দেয়। কিন্তু এটা মারাত্বক একটা ভুল, আপনার পাসওয়ার্ড আপনি কখনো ১৫ ওয়ার্ডের নিচে রাখবেন না। সেটার মাঝে অব্যশয় স্পেশাল কিছু ওয়ার্ড রাখবেন যেমনঃ .<.>?/’”;:[{]})(-_+=@!$#%& এই গুলো, তাছাড়া আপনি upercase, lower case এই গুল ব্যবহার করবেন।

৩। অনেক সময় আমরা আমাদের রাউটারের Fairwall আনেবল করি না। কিন্তু এটা খুব জরুরি কেননা Fairwall হচ্ছে সব কিছু থেকে বাচানোর সুরক্ষা দেওয়াল, আর আপনি যদি সেটা আনেবল না করে থাকেন তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনি কতটা বোকার মত করেছেন। তাই খুব দ্রুত আপনার রাউটারের fairwall টা আনেবল করে নিন।

৪। WPS ডিসেবল করে নিন। যদি আপনি আপনার রাউটার কে অফিসে ব্যবহার না করেন বা WPS এর যদি দরকার না থাকে তবে আপনি ভুলেও WPS Enable রাখবেন না।

৫। পাসওয়ার্ড ইনক্রিপশন হিসাবে আপনি WEP ভুলেও ব্যবহার করবেন না। WPA / WPA2 এই গুলোই এখন ভার্নেবল হয়ে গেছে, তাই নতুন ইনক্রিপশন আপডেট হিসাবে এসেছে WPA-PSK/WPA2-PSK। আপনি অব্যশয় এই এনপক্রিপশন ফরমেট টা ব্যবহার করুন।

কিভাবে আপনি স্টোং পাসওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন?

অনেক সময় আমরা আমাদের পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় ছোট পাসওয়ার্ড দিয়ে ত্থাকি আর কারণ হিসাবে বলে থাকি আমার বড় পাসওয়ার্ড মনে থাকে না, কিন্তু এটা কোন যুক্তি সংগত কথা না।যদি না জেনে থাকেন কিভাবে শক্তিশালি পাসওয়ার্ড বানাবেন? কিছু স্টেপ আপনি ফলো করুন আশা করছি আপনি আপনার ওয়াই-ফাই টা অনেক সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

১। ১৫  টা ওয়ার্ডের নিচে কখনো পাসওয়ার্ড দিবেন না।

২। আপনার পাসওয়ার্ডে আপনি স্পেশাল ওয়ার্ড যুক্ত করুন কিছু, যেমনঃ !@#$%^&*()_+}{][ ইত্যাদি

৩। নিজে নিজে পাসওয়ার্ডের একটা প্যাটান বানান, এবার সেই প্যাটান হিসাবে পাসওয়ার্ড দিন যেমনঃ আমার নাম Pappu, আমার GF এর নাম Arfin (শুধু শেখার জন্য দেওয়া হয়েছে এই নাম গুলো কাকতালিও) 😀 :p । এখন আমি আমার পাসওয়ার্ড হিসাবে যদি PappuArfinএইটা দিই তাহলে সেটা হবে বোকামি। কখনোই এমন পাসওয়ার্ড দিবেন না। আপনি আগে ভেবে নেই আপনার প্রিয় সংখ্যা কি? যেমন আমার 2 তাই আমি দিব P এর কাছে 2 তাহলে আমার পাসওয়ার্ড টা হচ্ছে 2a22uArfin কিন্তু আপনি যদি চান এটা দিবেন তাহলে আমি আপনাকে এটা রিকমান্ড করবো না কেননা আমি আরো সিকিউরিটি চাই। তাই আমি এবার এই পাসওয়ার্ডের সামনে, পেছনে, মাঝে সব জায়গা তেই কিছু স্পেশাল ওয়ার্ড দিব। কেননা আগেই বলা ছিল ১৫ ওয়ার্ডের নিচে পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। তাই 2a22uArfini এর সাথে কিছু যোগ করবো, Pappu > 2a22u এর আগে একটা ! ও একটা @ দেন। কেননা !@ এই ২ টা ওয়ার্ড ব্যবহার হয় Shift মেরে ১ও২ চাপলে তাহলে তো আপনার মনে রাখা সুবিধা। তাহলে পাসওয়ার্ড হচ্ছে !@2a22uArfin , এবার তাহলে আমি মনে রাখার জন্য Pappu ও Arfin এই ২ টা ওয়ার্ডের মাঝে + দিব। 😀 তাহলে পাসওয়ার্ড হচ্ছে !@2a22u+Arfin কিন্তু আমাদের আরো একটা অক্ষর দিতে হবে যেহেতু আমাদের টার্গেট ১৫ তা আক্ষর তাই আমরা  আমাদের পাসওয়ার্ডের শেষে একটা ? বসায় দিব তাহলে আমার পাসওয়ার্ড হচ্ছে !@2a22u+Arfin? এবার আপনি বলেন আপনার পাসওয়ার্ড মনে রাখা কি খুব বেশি ঝামেলা হয়ে গেল? আমি বলছি না যে আপনি এই প্যাটানে পাসওয়ার্ড বানান আমি শুধু আপনাদের বোঝানোর জন্য এমন টা দিয়েছি। আপনার প্যাটান আপনি নিজে তৈরি করুন।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আগামী পর্বে আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

[Mobile] বিস্ফোরণ এড়াতে কিছু ও পরামর্শ

$
0
0

মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ফোনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের ফোন হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে যা অনাকাঙ্খিত। Samsung সহ সম্প্রতি নানা ফোন, সামনে এসেছে Xiaomi Mi A1 বিষ্ফোরণের ঘটনা৷ আট মাস ব্যবহার পর চার্জ দেওয়ার সময় ফোনটি ফেটে যায়৷ বিস্ফোরণে সম্পূর্ণরুপে নষ্ট হয়ে যায় সেটটি৷ কিছুদিন আগে স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধেও উঠেছিল এই একই ধরণের অভিযোগ৷ প্রযুক্তির যুগে সকলেই স্মার্টফোন নির্ভর, এতে সন্দেহ নেই৷ কিন্তু, কীভাবে এড়াবেন এধরণের ঘটনা?

১) স্মার্টফোনে বিস্ফোরণের অন্যতম মূল কারণ হিসেবে সামনে এসেছে ওভার-চার্জিংয়ের বিষয়টি৷ বেশিরভাগ ইউজারই রাতে ঘুমনোর সময় সারা রাত ধরে ফোনে চার্জ দিয়ে থাকেন৷ আর বেশি সময় ধরে চার্জ দেওয়ার ফলেই ওভার-হিটিংয়ের সমস্যা দেখা যায়৷ তাই, ফোন ফুল-চার্জ হয়ে গেলেই ফোনটিকে আন-প্লাগ করুন৷

২) ফোন চার্জ করার সময় কখনই সেটের উপর কোন জিনিস রাখবেন না৷ এতে ওভার-হিটিংয়ের সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ ফলে, খুব তাড়াতাড়ি আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে৷ এছাড়া, ফোন চার্জিংয়ের সময় কখনই মুভি দেখবেন না অথবা গেম খেলবেন না৷ এতেও ওভার-হিটিংয়ের সমস্যা দেখা যেতে পারে৷

৩) ফোন চার্জের সময় ইয়ারফোন ব্যবহার বা ফোনে কথা বলার সময় চার্জ দেবেন না৷ দীর্ঘসময়ের জন্য ফোন চার্জ দেওয়ার সময় কোন গরম জায়গা বা সরাসরি রোদের মধ্যে রেখে চার্জ দেবেন না৷ যেটি বাড়িয়ে দিতে পারে হিটিং ইস্যুকে৷ সব সময় সম্ভব না হলেও চার্জ দেওয়ার সময় ফোনটির কেসটিকে রিমুভ করে নিন৷

৪) স্মার্টফোন চার্জের সময় ব্যবহার করুন স্মার্টফোনটির নিজস্ব ব্রাণ্ডের চার্জার৷ ভুয়া বা অন্য ব্রাণ্ডের চার্জার ব্যবহার ফোনে বিস্ফোরণ ঘটানোর কারণ হতে পারে৷ চার্জারের মতই অনেক স্মার্টফোনের ব্যাটারিও বদলের প্রয়োজন পড়ে৷ সেক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট স্মার্টফোন সংস্থাটিরই ব্যাটারি ব্যবহার করুন৷ অনেক সময়ই অন্য সংস্থার ব্যাটারি ব্যবহার হয়ে থাকে৷ যা দুর্ঘটনার সম্ভবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

মোবাইল বিস্ফোরণের কিছু তথ্য সমূহ:-

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ


স্মার্ট ফোনের বেস্ট ব্রাউজার [Puffin Browser Pro Latest] ভার্সন এবং এর সুবিধা সমূহ।

$
0
0

আমরা  ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে browsing করার সময় বিরক্ত বোধ করি । নানা রকম সমস্যায় পড়ি আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি ব্রাউজারের পরিচয় করে দিব যা অনেকেই জানেন তবু ও একটা অনুরোধের ভিত্তিতে পোস্টটা করছি।

আসলে আজকের পোস্টে ব্রাউজারটির সুবিধা সমূহ আলোচনা করব এবং লেটেস্ট প্রু ভর্সনের লিংক দিব ইনশাআল্লাহ।

অ্যাপ রিভিউ:-

  1. App name : Puffin Browser Pro
    Package Name : com.cloudmosa.puffin
    Developer: CloudMosa Inc.
    Apk Md5 : 7599eb2a792343cd05f459eae833cb87
    Apk Size :18.77 MB
    Update on Play Store :October 8, 2018
    Version Name & Code:7.7.2.30688(30688)

এক নজরে ভালো দিক গুলো :-
1 – সুপার ফাস্ট ,0.5 – 2  সেকন্ড এ যে কোন পেজ লোড করে ,এমনকি স্লো নেট কানেকশেন থাকলেও
2 – 90 % পর্যন্ত data সভিং ( সেটিংস অনুযায়ী )
3 – data খরচ ছাড়াই drive এ file ডাউনলোড করা যায় ।
4 – পপ আপ সহ বেশীরভাগ add ব্লক করে ।
5 –  ক্লাউড সার্ভার ইউজ করায় ,নিমিষেই পেজ লোড করে এবং পিসির মতো ব্রাউজিং।

 

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়ে [Computer] কন্ট্রোল করুন।

$
0
0

অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার কন্ট্রোল করুন সহজেই প্রথমে বলে রাখা ভাল যে,  Google তাদের নিজস্ব একটা Application বের করেছে যার নাম Chrome remote Desktop. এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি যে কোন জায়গা থেকে যে কোন স্মার্টফোন দিয়ে আপনার PC Access করতে পারবেন খুব সহজেই।

যেসব ধাপ অনুসরণ করবেন তা নিম্নরুপঃ

১. প্রথমে প্লেস্টোর থেকে Chrome Remote Desktop এপ্লিকেশন টি ডাওনলোড করুন।এখন Apps টি Open করুন, এবার আপনি My computer এর ওপরে একটা Label দেখতে পাবেন আর নীচে খেয়াল করলে Google Account দেখতে পারবেন যেটা আপনার ডিভাইসে লগিন করেছেন।

২. এখন আপনার কম্পিউটার থেকে Google Chrome ওপেন করুন এবং এই chrome Remote Desktop Extention টি ডাওনলোড করুন। এরপর Extenstion আপনার Google chrome তে Add হয়ে যাবে এবং আপনি Apps গুলো প্রোগ্রামের মত আপনার Taskbar এ দেখতে পাবেন মানে Bottom screen এ দেখতে পাবেন।

৩. এখন Add এ ক্লিক করুন।  এখন আপনি সব Apps দেখতে পাবেন যেগুলো ইন্সটল করা আছে এবং সর্বশেষ আপনি chrome Remote Desktop icon দেখতে পাবেন সেই আইকনে Click করুন। ক্লিক করার পর Installation process শুরু হয়ে যাবে এবং রিমোট শেয়ারিং এর জন্যে একটি সফটওয়্যার অটোমেটিকালি আপনার পিসি তে ডাউনলোড হবে। সফটওয়্যার টি ইন্সটল করুন এবং Get started এ ক্লিক করে যে কোম জায়গা থেকে PC Access করুন।

৪. এখন Remote computer share এ একটি Pin সেট করুন। এরপর Enable The Feature. এখন আপনার মোবাইলের Apps টি তে যান এবং ডান দিকের উপরের কোনায় Refresh বাটনে ক্লিক করলে আপনি আপনার PC লিস্টে দেখতে পাবেন।

৫. PC নামের ওপরে ক্লিক করুন এবং আপনার PIN দিন এরপর দেখুন আপনি কম্পিউটার স্ক্রীন Access করতে পারছেন।

৬. কাজ শেষ। যদি আপনি এটা পুরোপুরি করতে পারেন তাহলে আপনি পিসি তে যেকোন কিছু আপনার স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন।

৭. এখন ফোন থেকে  Chrome Remote Desktop App ওপেন করুন ও রিফ্রেশ করুন দেখবেন আপনার পিসির নাম দেখাচ্ছে।

৮. এখন পিসির নামের ওপর  ট্যাপ করে পিন দিন দেখবেন Access হয়ে গেছে।

 

অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়ে Computer কন্ট্রোল করুন বিষয়ে ট্রিকবিডিতে আরো পোস্ট আছে কিন্তু Chorme Extenstion এর মাধ্যমে এই রকম পোস্ট নেই।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

[Computer] অদৃশ্য ফোল্ডার তৈরি করার পদ্ধতি।

$
0
0

অনেক সময় ফোল্ডার হাইড করার প্রয়োজন হয়ে থাকে । তবে ফোল্ডার হাইড করলেও যে কেউ আনহাউড করে তা দেখতে পারে। এরপরও কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যা করলে সাধারণত চোখে কেউ এই ফোল্ডার দেখতে পারবে না।এ টিউটোরিয়ালে অদৃশ্য ফোল্ডার তৈরির নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

১. মাউসে রাইটে ক্লিক করে new  থেকে new folder তৈরি করতে হবে।

 

২. ফোল্ডার তৈরি হলে  properties এ গিয়ে change icon এ ক্লিক করতে হবে।

hasan420..2

৩. এরপর অনেকগুলো আইকন দেখা যাবে যেখান থেকে অদৃশ্য আইকনটি ক্লিক করে ok করে দিতে  হবে।

hasan420..3

৪. এখন ফোল্ডারটির ওপর cursor রাখলে বোঝা যাবে সেখানে একটি ফোল্ডার রয়েছে।

 

কিন্তু ফোল্ডারে নাম দেখে যাবে। এই নাম পরিবর্তনের করে অদৃশ্য করতে Rename করুন। এরপর new floder লেখাটি হাইলাইট করা অবস্থায়  ALT +0160 চাপুন দেখবে নামহীন ফোল্ডার। তৈরি হয়ে যাবে অদৃশ্য একটি ফোল্ডার।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

[root/unroot] নোটিফিকেশন প্যানেল থেকে আপনার পছন্দের অ্যাপ অপেন করুন।

$
0
0

অ্যাপসটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, সেটি ব্যবহার করে আপনি আপনার Android ডিভাইসের পছন্দের অ্যাপস গুলো অনেক অল্প সময়ের মধ্যে চালু করতে পারবেন ।অ্যাপসটির সব থেকে বড় সুবিধা হল (রুট+আনরুট) সব ইউজাররা অ্যাপসটি ইউজ করতে পারবেন।

তাহলে চলুন পরিচিত হই অ্যাপসটির সাথে।অ্যাপসটির নাম, বার লান্সার (Bar Launcher)

ডাউনলোড করতে লিংক

Launcher বলতে আমারা সাধারণত যেটা বুঝি, এটা আসলে সেরকম না । bar Launcher ব্যবহার করে নোটিফিকেশন প্যানেলে পছন্দের অ্যাপস গুলো সেট করে রাখা যায় । আর আমরা জানি, ফোনের প্রায় অধিকাংশ অবস্থান থেকে নোটিফিকেশন প্যানেল ওপেন করা যায় । তাই অ্যাপসটি ব্যবহার করে পছন্দের এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপস গুলো সিলেক্ট করে রাখলে, অনেক দ্রুততার সাথে সিলেক্টেড অ্যাপস গুলো চালু করতে পারবেন ।আশা করি অ্যাপটি আপনাদের ভালো লাগবে।

অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। ওপেন করে প্রথমেই উপরে ON/OFF বাটন থেকে ON করে নিন। এখন নোটিফিকেশন।

 

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

[Dream League Soccer 2018 Latest Mod Apk 5.064] ডাউনলোড ও সেটআপ। দারুন একটি গেমই।

$
0
0

আজকের পোস্টের বিষয় সর্ম্পকে আপনারা অবশ্যই জানেন।আমরা যারা ফুটবল পাগল তারা আমাদের প্রিয়  গেম Dream League Soccer 2018 গেমটি আমাদের মোবাইলে খেলি কিন্তু আমরা সম্পন্ন আনন্দ ও সুবিধা উপভোগ করতে পারি না।তাই আজকে আপনাদের জন্য এই পোস্ট।

কাজের ধাপ বা করণীয়ঃ-

(1) প্রথমে Dream League Soccer 2018 ও অনেক কিছু আনলক পেতে (Size 58.6) এখান থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করুে ইন্সটল করুন।

বা, dls-2018-(obb)_5.064-android-1.com.zip ফাইল Extract করে install করতে পারবেন।

(2) dls-2018-(obb)_5.064-android-1.com.zip ফাইল ডাউনলোড করুন (Size 277.05) এখান থেকে।

 

(3) ডাউনলোড কৃত dls-2018-(obb)_5.064-android-1.com.zip ফাইল Extract করুন।Extract করতে es file explorer apk ব্যবহার করতে পারেন।

(4) Extract করা ফাইল টি Install APK,place data folder in SDcard/Android/obb/ and play game.মানে Dream League Soccer 2018 apk যে storage ইন্সটল হয়ছে সেই storage গিয়ে  Extract করা ফাইল থেকে ফোল্ডার ফোল্ডার কপি করুন।

(5) কপি করা ফোল্ডার ফোল্ডার SDcard/Android/obb ফোল্ডারে Past করুন।

 

যদি না বুঝেন তাহলে নিচে দেখুনঃ-

আমাদের কাজ শেষ এখন আপনি গেমটি খেলতে পারবেন।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

[multitasking] আপনার মোবাইলে একসাথে একাধিক অ্যাপ চালান।

$
0
0

আমরা যারা অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ব্যবহার করি তাদের অনেকের multitasking না থাকায় একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করতে পারি না।আজকে আপনাদের দেখাব কী ভাবে multitasking এর সুবিধার মাধ্যমে আমাদের অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইলে একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করব।

প্রথমে নিচ থেকে অ্যাপসগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে ৷

১. Floating Apps

 

 

ডাউনলোড লিংক Floating App Pro

 

২. G player pro Download

 

Floating Apps টি রান করার পর অনেকগুলো অপশন পাবেন ৷ নিজের পছন্দসই অ্যাপসগুলোকে বুকমার্কও করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে স্কিনের আইকনের মাধ্যমে সেখান থেকে আপনারা অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।আর যদি গানও শুনেন তাহলে G player ব্যবহার করতে পারেন ৷

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

[YouTube] থেকে ডাউনলোড করুন কোন অ্যাপ বা সফটওয়্যার ছাড়াই।Mp3 & Mp4 ফরমেটে।

$
0
0

আমরা Youtube এ সাধারণত আমরা ভিডিও দেখি এবং ডাউনলোড করি। কিন্তু কিছু ভিডিও আছে যেগুলোর শুধুমাত্র অডিওর প্রয়োজন হয় নিজেদের প্রয়োজনে। আমরা সাধারনত ইউটিউব থেকে   কোন কিছু  ডাউনলোড করতে নানা রকম অ্যাপ ইউজ করে থাকি।যেমন Vidmate,Tubemate ইত্যাদি

কিন্তু আজ আপনাদের দেখাব অন্য রকম ট্রিক যার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে অডিও গান ডাউনলোড করতে পারবেন তাও আবার High Quality অডিও।

কাজটি করার জন্য যা যা করতে হবে:-

১. আপনি একটি BROWSER এ প্রবেশ করুন।

২. youtube.com এ প্রবেশ করুন।

৩. আপনার পছন্দের ভিডিও সার্চ করুন।

৪.এবং ভিডিও থেকে address কপি করুন।

৫. এই লিংক এ ইন করুন ।

৬. একটি পেইজ আসবে, সেখানে আপনে  আগের কপি করা address বারে paste করুন।

৭. তার পর আপনারা পারবেন এবং ডাউনলোড করুন High Quality mp3।

আপনারা যদি শুধু ভিডিও ডাউনলোড করতে চান https://en.savefrom.net/ সাইট ও ব্যবহার করতে পারেন।এটা খুবই ভাল সাইট।সহজে বলতে গেলে ভিডিও লিংকে ss যোগ করলে এই সাইটে সহজেই নিয়ে যায়।যেমনঃ https://youtu.be/qbN7DtPAKQo এটা লিংক =https://ssyoutu.be/qbN7DtPAKQo এই ভাবে কাজটি করতে হবে।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতে ও শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ


[Adobe Photoshop] শিখতে চান নাকি।

$
0
0

আজকের এই পোস্টটি যারা ফটোশোপ শুরু করবেন বলে ভাবছেন এবং যারা নতুন তাদের জন্য এই পোস্টটি।আসলে যারা নতুন ফটোশোপ এর কাজ প্রাকটিস করছেন তাদের জন্য এই পোস্ট অনেক সহায়ক হবে বলে আশা করছি।

ফটোশপ এর টুল পরিচিতিঃ-

ফটোশপে কাজ করার সবিধার্থে এর বিভিন্ন ভার্সন এ নিয়মিত এর বিভিন্ন অংশসমূহ আরো বেশি ব্যাবহার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। ব্যাবহারকারীর সুবিধার্থে এসব অংশ সমূহ নির্দিষ্ট সজ্জাবিন্যাসে সাজানো হয়েছে।

টাইটেল বার :

এডোবি ফটোশপ স্ক্রিনের সর্বোপরে টাইটেল বার অবস্থিত, অর্থাৎ Adobe Photoshop কথাটির সাথে ডকুমেন্টের নাম যে বারে থাকে তাকে টাইটেল বার বলে। এর কাজ হচ্ছে ডকুমেন্টের নাম ধারণ করা।

মেনু বার:

টাইটেল বারের ঠিক নিচে File, Edit, Image, Layer, Select, Filter, View, Windows, Help এই ৯টির প্রত্যেকটিকে মেনু বলে আর এই মেনুগুলো একটি বারের উপর সন্নিবেশিত হয়ে আছে যাকে মেনু বার বলে। এই মেনুগুলোর প্রত্যেকটির অধিনে আবার অনেকগুলো করে সাব-মেনু আছে যেগুলোকে ব্যবহার করে ব্যাবহারকারী কাজকে প্রানবন্ত করতে পারবে।

টুলস বক্স:

টুলস বক্সটি ডিফল্ট অবস্থায় এডোবি ফটোশপ স্ক্রিনের বাম প্রান্তে উলম্ব ভাবে থাকে। রাজমিস্ত্রি যেমন কাজ করার সময় তার বিভিন্ন যন্ত্র-পাতি কুন্নি, ওয়্যাটারলেভেল, ঊষা, স্ক্র-গেজ, হ্যামার, শাবল ইত্যাদী ব্যবহার করে নিখুত করে বিল্ডিং তৈরী করে ব্যাবহারকারী ঠিক তেমন করে Move Tool, Rectangular Marquee Tool, Lasso Tool, Magic Wind Tool, Crop Tool ইত্যাদী ব্যবহার করে ডিজাইন করতে পারে।

স্ট্যাটাস বার:

চলমান ডকুমেন্টে কোন কাজ হচ্ছে, কোন টুল ব্যবহৃত হচ্ছে ইত্যাদী সম্পর্কিত তথ্য স্টেটাস বারের মাধ্যমে যানা যায়। এর অবস্থান ডকুমেন্টের একেবারে নিচে জুম ইন্ডিকেটরের ডান পাশে।

thumbnail|ফটোশপে কালার নির্বাচন করার জন্য ডায়ালগ বক্স

টাস্কবার:

ডেস্কটপের নিচের দিকে বাম থেকেপাশ থেকে ডানপাশ পর্যন্ত যে উলম্ব বারটি থাকে তা হলো টাস্কবার। যখন কোন কাজকে মিনিমাইজ করা হয় তখন কাজগুলো সব এই টাস্কবারে এসে জমা হয় এবং প্রয়োজনের সময় আবার এখানে ক্লিক করলে কাজটি ম্যাক্সিমাইজ হয়ে যায়।

প্যালেট:

ডিজাইনকে প্রানবন্ত এবং খুব সহজে করার জন্য প্যালেটের সাহায্য নিয়ে কাজ করতে হয়। ফটোশপ চালু করার সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় সব প্যালেট আপনার উইন্ডোতে নাও থাকেতে পারে, সেক্ষেতে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় প্যালেট নিয়ে আসার জন্য উইন্ডো মেনুতে গিয়ে উক্ত প্যালেটের নামে ক্লিক করলে প্যালেটটি চলে আসবে। প্যালেটগুলো Default অবস্থায় ডান পাশে অবস্থান করে, তবে আপনি এগুলোকে ড্রাগ করে এদিক সেদিক আপনার পছন্দমত স্থানে নিয়ে আসতে পারবেন।টুলবক্স পরিচিতি.

জুম ইন্ডিকেটর:

চলমান ডকুমেন্ডে কত % জুম আছে তা এখান থেকে দেখা যায়। এর অবস্থান টুলস বারের নিচে এবং স্ট্যাটাস বারের বাম পাশে। এখানে ক্লিক করে নির্দিষ্ট % জুম টাইপ করে এন্টার করলে আপনার ডকুমেন্ডটি ঐ % এ জুম হয়ে যাবে। নিজের ইচ্ছেমত জুমকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য এটা একটা সহজ পদ্বতি।

Tools shortcut keyboard.

Shift চেপে যে ধরে যে বাটন কি চাপলে  টুলগুলো আমরা সহজেই ব্যবহার করতে পারব ।
  • V = মুভ টুল
  • M = মার্ক টুল
  • L = ল্যাসো টুল
  • W = ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল
  • C = ক্রপ টুল
  • I = আই ড্রপার টুল
  • O = ডজ টুল
  • J = স্পট হিলিং ব্রাশ টুল
  • B = ব্রাশ টুল
  • S = ক্লোন স্ট্যাম্প টুল
  • Y = হিস্ট্রি ব্রাশ টুল
  • E = ইরেজার টুল
  • G = গ্র্যাডিয়েন্ট টুল
  • P = পেন টুল
  • T = টাইপ টুল
  • A = পাথ সিলেকশন টুল
  • U = রেকটেঙ্গল টুল
  • H = হ্যান্ড টুল
  • R = রোটেট ভিউ টুল
  • Z = জুম টুল

টুলবক্স পরিচিতি

ফটোশপ চালু করলে এর বামদিকে দেখতে পাবেন টুলবক্স। ফটোশপে ছবির কাজ করার সময় টুলবক্স অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। ফটোশপের বর্তমান সংস্করনে প্রায় ৩০ রকম টুল আছে। কার্যকারিতার সুবিধার্থে এদেরকে ৬ টি গ্রুপে ভাগ করা যায়। প্রতিটি টুলে আবার দু থেকে তিনটি করে সাব টুল আছে। টুলের উপর রাইট ক্লিক করলেই এগুলো পাওয়া যায়।

Marquee Tool

Marquee Tool চার প্রকার –

1. Rectangular Marquee Tool: এটি দিয়ে আপনি চার কোনা আকারে ছবি নির্বাচন করতে পারেন। সাধারনত ড্র্যাগ করে নির্বাচন করা যাবে। আর যদি আপনি শিফট ধরে ড্র্যাগ করেন তাহলে বর্গাকারে নির্বাচন হবে।

2. Elliptical Marquee Tool: এটি দিয়ে আপনি বৃত্তাকারে ছবিতে নির্বাচন করতে পারেন। নরমালি ড্র্যাগ করে নির্বাচন করা যাবে। আর যদি আপনি শিফট ধরে ড্র্যাগ করেন তাহলে বর্গাকারে নির্বাচন হবে।

3. Single Row Marquee Tool: এটি দিয়ে আপনি ছবিতে Row আকারে দাগ ভাবে নির্বাচন করতে পারবেন।

4. Single Column Marquee Tool: এটি দিয়ে আপনি ছবিতে Column আকারে দাগ ভাবে নির্বাচন করতে পারবেন।

Move Tool

এই টুলটির নাম Move Tool এটি দিয়ে আপনি আপনার ছবির কোন লেয়ারকে স্হানান্তর করাতে পারি। আপনি এখানে ক্লিক করলেই দুই বা ততোধিক লেয়ার থাকলে এ্যাকটিভ লেয়ারটি নির্বাচন হবে এবং আপনি ড্র্যাগ করে Move করাতে পারেন।

Lasso Tool

ছবির বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন করতে এর জুড়ি নেই। Lasso Tool তিন প্রকার –

1. Lasso Tool: এটিকে একটি পেন্সিল ভাবুন। পেনসিলের মত চাপ দিয়ে যতটুকু আঁকাবেন তারপর ছেড়ে দিলেই ঐ অংশটুকু নির্বাচন হবে।

2. Polygonal Lasso Tool: প্রথমে এক যায়গায় ক্লিক করে নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট তৈরির মাধ্যমে ছবিতে বিভিন্ন জায়গা নির্বাচন করতে পারবেন।

3. Magnetic Lasso Tool: এটিতে তেমন কোন পরিশ্রম হবে না। শুধু ছবিতে যেখানে যেখানে যাবেন সেখানে এটি রং পার্থক্য দেখে নির্বাচন করে যাবে।

Magic Wand Tool

এটি দিয়ে আপনি যে কোন এক রং এর উপর ক্লিক করেই সে অংশটুকু নির্বাচন হয়ে যাবে।

Crop Tool

এটি ব্যবহার করে আপনি ছবিকে যে কোন সাইজে Crop বা রিসাইজ করতে পারবেন। এটিতে ক্লিক করলে ষ্ট্যান্ডার্ড টুলবারে নিচের মত আসবে। এখানে আপনি সাইজ দিয়ে ক্রপ করতে পারেন।

Healing Brush Tool

এতে কয়েকটি অংশ আছে –

1. spot healing brush tool: এটি ফটোশপ সি সি এর খুবই কার্যকরী টুল৷ এর মাধ্যমে যে কোন দাগ অথবা অবাঞ্ছিত কিছু খুব সুন্দরভাবে মুছে ফেলা যায়৷

2. Healing Brush Tool: একস্থান থেকে কপি করে আরেকস্থানে আনার জন্য উপযুক্ত ব্রাশ। এই টুলটি সক্রিয় করে যেখান থেকে কপি করে আনবেন শুধুমাত্র কিবোর্ড থেকে Alt চাপ দিয়ে ক্লিক করুন। তাহলেই হবে। তারপর যেখানে ড্র্যাগ করবেন সেখানেই কপি হয়ে যাবে।

3. Patch Tools: এটা লেসো টুলের মতই তবে হয়ত একটু বিশেষত্ব আছে।

4. Color Replacement Tool: এক কালারের পরিবর্তে আরেক কালার দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার হয়। কালার প্যালেটে শুধুমাত্র কালার নির্বাচন করে ড্র্যাগ করুন।

5. Brush Tool: ফটোশপের সবচেয়ে কার্যকরী টুল হল এটি।

Stamp Tool

এখানে দুটি টুল আছে –

1. Clone Stamp Tool: এটির ব্যবহার Healing Brugh Tool এর মতই। একস্থান থেকে কপি করে আরেকস্থানে আনার জন্য উপযুক্ত ব্রাশ। এই টুলটি সক্রিয় করে যেখান থেকে কপি করে আনবেন শুধুমাত্র কিবোর্ড থেকে Alt চাপ দিয়ে ক্লিক করুন। তাহলেই হবে। তারপর যেখানে ড্র্যাগ করবেন সেখানেই কপি হয়ে যাবে।

2. Pattern Stamp Tool: বিভিন্ন প্যাটার্ন দেওয়ার জন্য এটির ব্যবহার করা সহজ। এটি সক্রিয় করলে ষ্ট্যান্ডার্ড টুলবার থেকে আপনি বিভিন্ন প্যাটার্ন পছন্দ করে ছবিতে প্রয়োগ করতে পারেন।

History Brush Tool

আপনার ছবির প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করুন এই টুলটি। এখানে দুটো টুল পাবেন।

Eraser Tool

এটি দিয়ে মুছতে বা ডিলিট করতে হয়। এতে তিনটি টুল আছে –

1. Eraser Tool: এটা নির্বাচন করে ড্র্যাগ করে আপনি অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছতে পারবেন।

2. Background Eraser Tool: এর মাধ্যমে আপনার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারে থাকা কোন রং কে শুছে ফেলা যাবে।

3. Magic Eraser Tool: ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার টুল আর এইটির কাজ একই শুধুমাত্র একটু প্রার্থক্য হল ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার টুল দিয়ে ইরেজ করলে টুলটির আকারের স্থানের অংশটুকু ইরেজ হবে। আর এটি দিয়ে ইরেজ করলে যতটুকু এক কালার আছে তার সবটুকুই ইরেজ/ডিলিট হবে।

Gradient Tool

গ্র্যাডিয়েন্ট হলো বিভিন্ন কালারের সমন্বয়। এখানে দুইটি টুল আছে।

1. Gradient Tool: গ্রিডেন্ট টুল সক্রিয় করলে ষ্ট্যান্ডার্ড টুলবারে গ্র্যাডিয়েন্ট অপশন দেখতে পাবেন। এখানে বিভিন্ন গ্রাডিয়েন্ট নির্বাচন, সাইজ ও বিভিন্ন পরিবর্তন করতে পারবেন।

2. Paint Bucket Tool: এই টুল দিয়ে বিভিন্ন রকম প্যাটার্ন দিতে পারেন। তবে এজন্য অবশ্যই Fill থেকে প্যাটার্ন নির্বাচন করুন।

Blur Tool

ছবি মসৃন করার জন্য এটির ব্যবহার হয়। এটি সক্রিয় করলে নিচের মত ষ্ট্যান্ডার্ড টুল বারে আসবে। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন অপশন পরিবর্তন করতে পারেন।

Sharp Tool

ছবিকে সার্প করার জন্য এই টুলস ব্যবহার করা হয়।

Smudge Tool

এটা দিয়ে সহজেই ছবিতে কোন দাগ থাকলে তা মুছে দিতে পারেন। এজন্য এটি নির্বাচন করে দাগের সমপরিমাণ সাইজ করে ছবিতে ড্র্যাগ করুন।

Dodge Tool

অত্যন্ত কার্যকরী টুল। এখানে তিনটি সাব টুল আছে –

1. Dodge Tool: এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস বাড়ানো বা আলো দেওয়া যায়।

2. Burn Tool: এটার কাজ ঠিক Dodge Tool এর উল্টো। অর্থাৎ এটি দিয়ে ব্রাইটনেস কমানো বা কালো করা হয়। যেমন, চুল কালো করা, চোখের মনি কালো করা, ভ্রু কালো করা ইত্যাদি।

3. Sponge Tool: ছবিতে Sponge দেওয়ার জন্য। এখানে দুটো অপশন আছে।

Path Selection Tool

এখানে দুটো সাব টুল আছে –

1. Path Selection Tool: ছবিতে কোন প্যাথ বা লেয়ার নির্বাচন করার জন্য।

2. Direct Selection Tool: পুরো লেয়ার নির্বাচন করার জন্য।

Pen Tool

ফটোশপের কার্যকরী একটি টুল। এতে ৫টি সাব টুল আছে –

1. Pen Tool: পেন টুলের সাহায্যে ছবিকে নির্বাচন করা যায়। লেসো টুল দিয়েও ছবি নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু লেসোটুলো ছবি নির্বাচন করার পর আনডু বা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায় না। কিন্তু পেন টুলে সহজেই আপনি ধাপে ধাপে করতে পারেন। এতে ছবি নির্বাচন করা একটু কঠিন তবে এতে ছবির মান ভাল হয়।

2. Free Form Pen Tool: স্বাধীন ভাবে ছবি নির্বাচন করার জন্য।

3. Add Anchor Point Tool: প্যাথ অ্যাড করার জন্য এটির ব্যবহার। অবশ্য এটি আপনি কিবোর্ড থেকে Shift ধরেও করতে পারেন।

4. Delete Anchor Point Tool: প্যাথ রিমুভ করার জন্য এটির ব্যবহার। অবশ্য এটি আপনি কিবোর্ড থেকে Alt ধরেও করতে পারেন।

5. Convert Point Tool: আপনার আকানো সব প্যাথকে একটি প্যাথে কনভার্ট করার জন্য।

Notes Tools

ছবিতে কোন নোট বা কথা থাকলে তা সেভ করার জন্য এটিকে ব্যবহার করতে পারেন।

Audio Annotation Tool

ছবিতে রেকর্ড করা কথা যোগ করার জন্য এটির ব্যবহার। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার মাইক্রোফোন থাকতে হবে।

Hand Tool

ছবিকে স্থানান্তর করার জন্য এটির ব্যবহার।Adobe Photoshop এ সহজে কাজ করতে এই টুল প্যানেলের কোনো জবাব নেই।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

[Malwarebytes.Premium.v3.6.1.2711] Computer ব্যবহারকারী দের জন্য একটি দারুণ এন্টিভাইরাস।

$
0
0

আজকের পোস্টটি আসলে কম্পিউটার ব্যবহারকারী দের জন্য যারা এখন ও ভাল এন্টিভাইরাস খুঁজছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি আশা করি ভাল লাগবে ইনশাআল্লাহ।আজকের আলোচিত সফ্টওয়্যার টির নাম Malwarebytes এটি অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি এন্টিভাইরাস।

আপনার Malwarebytes এর সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন কিন্তু এটি Free ভার্সনের হবে এর মাধ্যমে আপনারা অনেক premium সুবিধা পাবেন না।আসলে বিনা পয়সার জিনিস কেমন হয় অবশ্যই জানেন।তবু ও Malwarebytes Free ভার্সন একেবারেই ফেলনা নয় ।আপনাদের Malwarebytes Free এবং Malwarebytes premium ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।আজকে আমি Malwarebytes premium এর লেটেস্ট ভার্সন আপনাদর উপহার দিব।তার আগে Malwarebytes সর্ম্পকে জেনে নেওয়া যাক:-

Malwarebytes – একটি সফ্টওয়্যার সনাক্ত করতে এবং বিভিন্ন স্পাইওয়্যার মডিউল ধ্বংস। সফ্টওয়্যার ওয়ার্ম, ট্রোজান, ফাইল ভাইরাস, স্পাইওয়ার ইত্যাদি থেকে কম্পিউটার রক্ষা করে Malwarebytes এন্টি ম্যালওয়্যার সিস্টেম তে অনেক প্রোটেকশন দিয়ে আছে যেমন :-

আপনাদের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে যা করতে হবে:-

১. প্রথমে এখান থেকে ডাউনলোড করুন।

২. zip ফাইলটি Extract করুন।

৩. এবার install করুন আপনারা ও পারবেন।

৪. Extract করা ফাইলে আপনারা একটি ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিও পাবেন সেটি অনুসরণ করবেন।

হয়ে গেল install এর কাজ এখন দেখাব কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই সর্ম্পকে হালকা ধারণা দিব:-

এখানে সাধারণ ভাবে বুঝানো হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।নিজরা বাসায় ট্রাই করবেন তাহলে সব বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

[all one messanger extension] কম্পিউটারের অসাধারণ একটি জিনিস।

$
0
0

প্রিয় ভাইয়েরা আজকে আপনাদের সামনে এমন একটি টিউটোরিয়াল নিয়ে আসলাম যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন একটি ছোট Extension এর মাধ্যমে।আমরা আমাদের কম্পিউটারে সামাজিক সাইটগুলোর মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে থাকি।

WhatsGreen Multi Messenger এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একটি সুবিধাজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ।

কাজটি করার জন্য করণীয়:-

১. প্রথমে এখান থেকে Extension টি Chorme এ Add করুন।

২. নিচের স্কীনশর্ট ফলো করুন।

 

৩. এখন আপনার প্রিয় মেসেজিং অ্যাপটা নির্বাচন করুন এবং ব্যবহার করতে থাকুন।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

[Temple Run 2 Version: 1.51.2 Latest Mod Apk] সব কিছুই আনলিমিটেড এবার গেম খেলুন আর চিন্তা নেই।

$
0
0

আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি গেম নিয়ে কথা বলব আসলে সবাই আমরা এই গেমটি খেলি কিন্তু গেমটি খেলে তেমন সুবিধা পাই না কারণ currency নেই আরো অনেক সমস্যা।আজ আপনাদের সাথে কথা বলব Temple Run 2 Mod Apk সর্ম্পকে এই অ্যাপ ব্যবহরে আপনারা পাবেন আনলিমিটেড coin,currency ইত্যাদি।

ডাউনলোড লিংক:-

সাইজ: 72.2 mb

App Download Link [Mod]

আপনারা উপরের লিংক থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন।আর আমি এর আগে Mod Apk নিয়ে পোস্ট করছিলাম তো কেউ,কেউ বলে Mod Apk কি।

আসলে Mod Apk হচ্ছে এমন একটি অ্যাপ যেখানে সাধারণ অ্যাপটির চেয়ে উন্নতমানের সুবিধা থাকে গেম ব্যালেন্স,কয়েন ইত্যাদির দিক থেকে এবং নানা রকম access পাওয়া যায়।আসলে Mod Apk এ এমন সুবিধা যা আপনার মন জয় করে নিবে অবশ্যই।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

[Best 5] টি বেস্ট অফলাইন মোবাইল গেম।

$
0
0

আজকে আপনাদের সাথে ৫ টি অফলাইন গেম নিয়ে আলোচনা করব। ইন্টারনেট ছাড়া মোবাইলে গেম খেলাটা হলো অফলাইন গেম। অনেকে আবার প্রশ্ন করে ভাই অফলাইন গেম কি।আমাদের আজকের পোস্টের গেমগুলো বাছাইকৃত অফলাইন গেম সবার কাছে গেমগুলো ভালো নাও লাগতে পরে।তার পরেও আশা করছি ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।

আজকের আলোচিত ৫ টি অফলাইন গেম সমূহ:-

Shadow Fight 2

ডাউনলোড করুন

Screenshot Image

যারা আসলে ফাইটিং ভালোবাসেন তাদের কাছে গেমটি ভালো লাগবে।এই গেমটি নিয়ে বলার আসলে কিছু নেই আপনি যদি ফাইটিং ভালোবাসেন তবে এখনি ডাউনলোড রে নিন এত ভাল লাগবে আসলে বলার মতো না।

Swamp Attack

ডাউনলোড করুন

যুদ্ধ শুরু কিছু ক্রেজি পশু আর জুম্বি আপনাকে অ্যাটাক করতে আসছে। আপনার ছোট্ট বাড়িটি ওদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তবে চিন্তার কিছু নেই, আপনার হাতে রয়েছে দারুণ একটি শট গান যা দিয়ে আপনি অনায়াসে পশুদের কাবু করতে পারবেন। এই গেমটি আপনি একা খেলতে পারবেন, আবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারবেন।

Screenshot Image

 

Last Hope – Zombie Sniper 3D

ডাউনলোড করুন

এটি একটি জুম্বি শ্যুটার আর্কেড গেম যা অফলাইন মোবাইল গেম এর তালিকায় অন্যতম সেরা স্থান দখল করে আছে। জুম্বি মুভি দেখেছেন নিশ্চয়ই, জুম্বিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য কী পরিমাণ যুদ্ধ করতে হয়! এটি ওই রকমই একটি গেম। আপনার চারপাশ ভরে আছে অসুস্থ জম্বিতে, আপনাকে এদের হাত থেকে বাঁচতে হবে এবং অন্যান্যদেরকেও বাঁচাতে হবে। সুতরাং, আপনার স্নিপার রাইফেলটি হাতে তুলে নিন আর মৃতপ্রায় এই জুম্বিদের হাত থেকে আপনার এলাকাটি রক্ষা করুন। মনে রাখবেন, আপনিই পুরো এলাকাটির শেষ ভরসা।

Screenshot Image

Badland

ডাউনলোড করুন

এটি একটি পুরস্কারপ্রাপ্ত পাজল গেম। গাছপালা আর ফুল পাখিতে ভরা মনোরম একটা বনের ভেতর কিছু মানুষের বসবাস যারা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। আপনার কাজ তাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা আর সেগুলোর সুন্দর সমাধান দেয়া। খুব সাধারণ লাগছে, তাই না? আসলে এটি একটি অসাধারণ অ্যাডভেঞ্চার গেম। না খেললে বুঝতে পারবেন না। বিশ্বের ৫ কোটিরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের মোবাইলে এই গেমটি রয়েছে, আপনার মোবাইলে না থাকলে মানায়!

Screenshot Image

Asphalt 8: Airborne

ডাউনলোড করুন

Asphalt 8 অন্যতম সেরা একটি কার রেসিং গেম। তবে এটি কোন সাধারণ রেসিং নয়, এটি আপনাকে দম বন্ধ করা রেসিং অভিজ্ঞতা দেবে। এটি একটি দারুণ অফলাইন গেম হলেও, এফিকে ফাইলটি বেশ ভারী হওয়ায় ডাউনলোড করতেই আপনার অনেক ডাটা খরচ হয়ে যাবে। সমস্যা কী, যখন আপনার মোবাইলে প্রচুর ডাটা থাকবে কিন্তু মেয়াদ থাকবে না, তখনই গেমটি ডাউনলোড করে নেবেন।

Screenshot Image

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন এবং আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটু ঘুরে আসবেন এবং কৃপণতা না করে প্লিজ সাবস্ক্রাইব করবেন।

আবার দেখা হবে  পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

Viewing all 601 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>